৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীকে গর্ভপাত, ধর্ষক গ্রেফতার

রাজন্য রুহানি, জামালপুর : জামালপুরের সরিষাবাড়িতে ১৪ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ ও ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাত ঘটনোর মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসামি জাহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার টাওয়ার মার্কেট এলাকার মো. খোকনের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলাম (২৩) কেসরিষাবাড়ি উপজেলার নাথেরপাড়া আওনা গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুস সাকিব। এর আগে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ওই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে গত বছরের ১২ আগস্ট সরিষাবাড়ি থানায় একটি ধর্ষণ ও গর্ভপাত ঘটানোর মামলা দায়ের করেন। মামলায় বলা হয়, তার ১৪ বছরের নাবালিকা মেয়েকে প্রতিবেশি মো. জাহিদুল ভয়ভীতি দেখিয়ে তার নির্মাণাধীন ভবনের ভেতর নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে খুন করার হুমকি দেয়। তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে জাহিদুল। ধর্ষিতা ভয়ে কাউকে কিছু জানায় নি। এক পর্যায়ে সে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জাহিদুলকে জানায়। জাহিদুল কৌশলে তার বোন সুবর্না (১৭) কে দিয়ে কিশোরীকে গর্ভপাত ঘটানোর ওষুধ খাইয়ে দেয়। ওষুধ খাবার পর গত ১১ এপ্রিল সকাল ৯টায় কিশোরীর গর্ভপাতে মৃত ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। এই গর্ভপাতের কারণে ওই কিশোরী অসুস্থ হলে তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নাজমুস সাকিব জানান, গ্রেফতার আসামি জাহিদুলকে সরিষাবাড়ি থানায় পাঠনো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
তিনি আরও জানান, জামালপুরের পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলামের নির্দেশে মামলাটি দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে পুলিশের পক্ষ থেকে সমস্ত কাজ শেষ করা হবে।
(আরআর/এসপি/এপ্রিল ১৯, ২০২৫)