রিয়াজুল রিয়াজ, ফরিদপুর : ফরিদপুরে প্রতারণার শিকার এক তরুণীর অভিযোগ এবং তাঁর সহযোগিতায় মেজর পরিচয় দানকারী এক প্রতারককে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী।

বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে মো. আমিনুল ইসলাম আপন (৩৭) নামের ওর প্রতারককে সেনাবাহিনীর (১৫ আর ই ব্যাটালিয়ন) একটি টিম অভিযোগকারীর সহায়তায় আটক করে।

গ্রেপ্তারকৃত প্রতারক আমিনুল পাবনা জেলার ফরিদপুর থানার পাঁচপুংলি গ্রামের মৃত আলেফ মন্ডলের ছেলে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফরিদপুরের মধুখালি উপজেলার ওই তরুণী (২৮) জানান, আমিনুল সেনাবাহিনীর একজন মেজর পদ মর্যাদার কর্মকর্তা পরিচয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার সাথে কথাবার্তার শুরু করে আমিনুল। কিছুদিন কথা বলার পর তাদের মধ্যে একটা সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।

ওই সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে প্রতারক আমিরুল গত রমজানে তরুণীর থেকে ৯০ হাজার টাকা ধার নেন। কিন্তু ওই টাকা তার কমিটমেন্ট অনুযায়ি আর ফেরত দেননি। টাকা নিয়ে নানা তাল বাহানা করতে থাকেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই তরুণী প্রতারক আমিনুলকে আরও দুই লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাবনা জেলার ফরিদপুর থানা থেকে তাঁর জেলা ফরিদপুরে নিয়ে আসেন। অতঃপর সেনাবাহিনীর কাছে ধরিয়ে দেন। সেনাবাহিনী প্রতারক আমিনুলকে ফরিদপুর কোতয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে নয়টার দিকে ফরিদপুর কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদ উজ্জামান এর সত্যতা নিশ্চিত করে উত্তরাধিকার ৭১ নিউজকে জানান, সেনাবাহিনীর মেজর পদের মিথ্যা পরিচয় দিয়ে মধুখালীর এক তরুণীর সাথে প্রতারণা করা প্রতারককে সেনাবাহিনী আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। তবে অভিযোগকারী তরুণীর বাড়ি মধুখালি থানায় হওয়ায় আমরা আটকৃত আসামিকে মধুখালি থানায় পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছি। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে নিয়ে মধুখালি থানার উদ্দেশ্যে রওনা হবে পুলিশ।

এর আগে, রাত সাড়ে আটটার একটু পরে মধুখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম নুরুজ্জামান এ বিষয়ে উত্তরাধিকার ৭১ নিউজকে জানান, 'আমি ব্যাপারটা শুনেছি। মধুখালি থানায় এখনও ওই আসামি পৌছায়নি। পৌছালে অভিযোগ সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

(আরআর/এএস/এপ্রিল ১৮, ২০২৫)