ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের অভিযোগে স্বরাষ্ট্র সচিব-আইজিপিকে নোটিশ

স্টাফ রিপোর্টার : পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রাজধানীর রমনায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ পুলিশের একটি নিরাপত্তা মহড়ায় ধর্মীয় অবস্থানকে ‘অপরাধী’ হিসেবে উপস্থাপন করায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
রেজিস্টার্ড ডাকযোগে বুধবার (১৬ এপ্রিল) দৈনিক আল-ইহসানের প্রতিবেদক মুহম্মদ আরিফুর রহমানের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ ওমর এই নোটিশ পাঠিয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, আরটিভির ফেসবুক পেজে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের মহড়ায় কিছু ব্যক্তিকে অপরাধী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, যারা উচ্চস্বরে বলছেন ‘পহেলা বৈশাখ মানি না’, ‘পহেলা বৈশাখ ইসলামবিদ্বেষী কাজ’ । এরপর মহড়ায় পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো ও ধরপাকড় করা হয়।
নোটিশে অভিযোগ করা হয়েছে, ‘পহেলা বৈশাখ মানি না’ — এই বক্তব্যকে একটি ‘অপরাধ’ হিসেবে দেখানো এবং সেই কারণে ‘গুলির যোগ্য’ হিসেবে চিত্রায়ণ করা ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ঘোরতর লঙ্ঘন।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় হিজরতের পর সেখানে প্রচলিত নওরোজ ও মেহরেগান নামক প্রাক-ইসলামী উৎসব বাতিল করে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা নির্ধারণ করেন। এই সুন্নাহকে অনুসরণ করে বহু ধর্মপ্রাণ মুসলমান নতুন বছর বা পহেলা বৈশাখের মতো উৎসবে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। এটি তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও চর্চার অংশ, যা বাংলাদেশ সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৪১ অনুচ্ছেদে নিশ্চিতকৃত মৌলিক অধিকার।
নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, পুলিশের মহড়ায় প্রদর্শিত এই আচরণ বাংলাদেশ দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ধারা ২৯৫(ক) অনুযায়ী ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের শামিল।
নোটিশদাতা পুলিশ প্রশাসনের এমন আচরণের জন্য আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা, মহড়ার পরিকল্পনায় জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায়, উচ্চ আদালতে রিট দায়েরসহ যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে জানানো হয়েছে।
(ওএস/এএস/এপ্রিল ১৭, ২০২৫)