গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে  দুনীতি দমন কমিশন (দুদক) এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে দুর্নীতির সত্যতা পেয়েছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দুদকের একটি আভিযানিক দল এ অভিযানে অংশ নেয়।

এ সময় দুদক গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায়, সোহরাব হোসেন সোহেল, ডিএডি মোহাম্মদ আল-আমিন হোসেন , আফসার উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

প্রথমে ছদ্মবেশে এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যরা তথ্য সংগ্রহ করেন । তারপর ওই টিমের সদস্যরা দলিল রেজিস্ট্রেশন, তল্লাশি, নকল উত্তোলনসহ অন্যান্য কাজে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি এবং ঘুষ দাবিসহ নানাবিধ অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত করে সত্যতা পান।

দুদক গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জমির দলিলের নকল উত্তোলনে গ্রাহকদের কাছ থেকে নকলনবিশরা সরকার নির্ধারিত ফর চেয়ে দলিল প্রতি অতিরিক্ত ৫ শ’ থেকে ১ হাজার টাকা আদায় করছেন। রশিদ বহি (টিকিট বহি) প্রতিটি ফর্ম ৬শ’ টাকা দরে বিক্রি করার বিধান রয়েছে। ১৬ এপ্রিলের এটি বিক্রির পর্যালোচনায় দেখা যায় ১০ টি ফরমে ৬ হাজার টাকার স্থলে ৬ হাজা্র ৭শ’ টাকা আদায় করা হয়েছে। কোটালীপাড়া সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের অফিস সহকারী আবুল খয়েরে কাছে ফরমের অতিরিক্ত ৭শ’ টাকা পাওয়া যায়। অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে ওই অফিস সহকারী অভিযানিক দলের সদস্যদের কাছে কোন সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেন নি।

এছাড়া দলিল পর্যালোচনার সময় দলিল লেখক এবং ফোনে জমির দলিল দাতা ও গ্রহীতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা জানান, দলিল রেজিস্ট্রেশনের সময় কোটালীপাড়া সাব-রেজিস্ট্রোরের কার্যালয়ের মোহরার শিখা রাণী মন্ডল ও মোহারার মেশকাতুর রহমান দলিল প্রতি দলিল লেখকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ১ হাজার ৯শ’ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেন।

অভিযুক্ত নকলনবিশ, অফিস সহকারী আবুল খায়ের, মোহরার শিখা রাণী মন্ডল ও মোহরার মেশকাতুর রহমানকে সতর্ক ও তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কোটালীপাড়া সাব-রেজিস্ট্রারকে পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে বলে দুদকের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে দুদকের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায় বলেন, অভিযানে দলিলের নকল উত্তোলন, রশিদ বহি (টিকিট বহি) ফিতে অতিরিক্ত টাকা আদায় ও দলিল রেজিস্ট্রেশনে অতিরিক্ত অর্থ দাবিসহ অন্যান্য অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে দুর্নীতি দমন কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

(এমএস/এএস/এপ্রিল ১৭, ২০২৫)