টুঙ্গিপাড়া কলেজের ভবন সংস্কার কাজে দুর্নীতির সত্যতা পেয়েছে দুদক

তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন সংস্কার কাজের অর্থ আত্মসাৎ অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুর্নীতি দমন কমিশন গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের একটি টীম সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ওই কলেজে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা শেষে অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতা পায়।
দুর্নীতি দমন কমিশন গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয় থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে, অভিযান পরিচালনার আগে দুদক এনফোর্সমেন্ট টীম প্রথমে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্য়ালয়ে গিয়ে ওই কাজের প্রাক্কলন, কাজ সমাপ্তির সনদ, বিল ও সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, সরেজমিন পরিদর্শনে প্রাপ্ত তথ্য ও সংগৃহীত ওইসব রেকর্ডপত্র পর্য়ালোচনায় দেখা যায়, গত বছরের ১৩ জুন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জন্য টুঙ্গিপাড়া শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন সংস্কারে ‘মেসার্স পি,আর প্রকৌশলীর’ অনুকুলে ’ কার্যাদেশ প্রদান করে। মাত্র ৬ দিনের মধ্যে ২০২৪ সালের ১৯ জুন ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওই কাজ সম্পন্ন করে । পরে ২৩ জুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫০ টাকা বিল গ্রহন করে। গত ৩১ জুলাই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দুলাল কিশোর বর টিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কাজগুলো বুঝে নেন।
এছাড়া সরেজমিনে দুদকের অনুসন্ধান এবং সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদে ওই কলেজের সংস্কার ও মেরামত কাজে যেসব অনিয়ম ওঠে আসে - তা হলো, সিলিং ফ্যানের রেগুলেটর, থ্যি গ্যাং ইত্যাদি হংকং, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া,থাইল্যান্ড, ইংল্যান্ড, জামার্নি অথবা জাপানী কোম্পানীর হওয়ার কথা সিডিউলে উল্লেখ থাকলেও দেশীয় ‘সুপার স্টার’ কোম্পানীর ফ্যান রেগুলেটর ও থ্রি গ্যাং সুইচ সরবরাহ করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সারফেস ওয়ারিংয়ের জন্য সিডিউলের বর্ণনা মতে মান সম্পন্ন ২৮ মিটার ক্যাবল যার মূল্য ১ লাখ ১২ হাজার টাকা ও ২৭ হাজার টাকা মূল্যের ৬ টি ট্রিপল পলি মিনিএচার সার্কিট ব্রেকার (টিপিএমসিবি) পরিদর্শনকালে পাওয়া যায়নি বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান বলেন, সরেজমিনে গিয়ে বেশ কিছু বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি পাওয়া যায়নি। এসব অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুপারিশ করে বিস্তারিত প্রতিবেদন দুদক প্রধান কার্যালয়ে দাখিল করা হবে।
(টিবি/এসপি/এপ্রিল ১৬, ২০২৫)