রূপক মুখার্জি, নড়াইল : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় দোকানে কেনাকাটা করতে যাওয়া এক মানসিক প্রতিবন্ধি তরুণীকে (২২) ভয়ভীতি দেখিয়ে দোকানের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দোকানি উলফাত মোল্যার (৫০) বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় অভিযুক্ত উলফাত মোল্যাকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে রবিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার নলদী ইউনিয়নের ব্রাহ্মণডাঙ্গা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার বিকেলে মানসিক প্রতিবন্ধি ওই তরুণী ব্রাহ্মণডাঙ্গা বাজারে উলফাত নামে এক ব্যক্তির দোকানে কেনাকাটার জন্য যায়। এ সময় দোকানি উলফাত তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দোকানের ভেতর ডেকে তাকে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী মেয়েটি মানসিক প্রতিবন্ধি হওয়ায় তিনি প্রতিবাদ করতে পারেননি। তবে বিষয়টি স্থানীয়রা দেখে ফেলেন এবং মেয়ের মাকে খবর দেন।

অভিযোগ উঠেছে, ওইদিন রাতে গ্রামের প্রভাবশালী মাতুব্বর কামরুল, লাভলু, নাজির, তাইজেল, জাকির, বোরাকসহ ৮/১০ ভুক্তভোগীর পরিবারকে আইনি পদক্ষেপ না নিতে চাপ দেয় এবং ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। এরই অংশ হিসেবে রাতেই অভিযুক্ত উলফাত ও স্থানীয় প্রভাবশালী মাতুব্বররা বৈঠকে বসেন এবং সবার সম্মতিতে উলফাত মোল্যাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করে তা তিনদিনের মধ্যে পরিশোধ করতে বলে আপস-মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। তবে এসব অভিযোগ এর ব্যাপারে অনেক চেষ্টা করেও উলফাত ও মাতুব্বর কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

ভুক্তভোগী ওই তরুণীর চাচা বলেন, ইজ্জত তো চলেই গেছে, টাকা দিয়ে কি হবে ? লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছি না। তাছাড়া ওই সালিশে আমাদের ডাকা হয়নি।

উলফাত মোল্যার ভাতিজি বলেন, আমার চাচা নির্দোষ। তাকে ফাঁসিয়েছেন মাতুব্বররা। ২ লাখ টাকা দিয়ে সমাধান করার পরও আমাদের বাড়িতে পুলিশ ও সাংবাদিকরা কেন এল পালটা প্রশ্ন করেন তিনি।

এ বিষয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত উলফাতকে সোমবার সন্ধ্যায় আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবার এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(আরএম/এএস/এপ্রিল ১৫, ২০২৫)