স্পোর্টস ডেস্ক : চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে গতকাল বুধবার রাতে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। কাতালানদের হয়ে প্রথম গোল করেছেন রাফিনহা। বরার্ট লেওয়ানডস্কি দুটি ও লামিন ইয়ামাল শেষ গোলটি করেন।

অলিম্পিক স্টেডিয়ামে রাফিনহার গোল নিয়ে বার্সার ড্রেসিংরুমে তৈরি হয়েছে অস্বস্তির। এটি আসলে ব্রাজিলিয়ান তারকার নিজস্ব গোল ছিল কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কেউ কেউ দাবি করেছেন, সতীর্থ পাও কুবার্সির গোল চুরি করেছেন রাফিনহা।

ম্যাচের ২৫ মিনিটে কুবার্সির শট প্রায় গোললাইন পেরিয়ে গিয়েছিল। সেই বল পা ছুঁয়ে দেন রাফিনহা। ফলে কুবার্সির পরিবর্তে স্কোরশিটে নাম লেখা হয়ে রাফিনহারই।

যদি রাফিনহা পা ছুঁয়ে না দিতেন, তাহলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ক্যারিয়ারের প্রথমবার গোলের রেকর্ড করতে পারতেন কুবার্সি। কিন্তু ১৮ বছর বয়সী স্প্যানিশ তারকার স্কোরশিটে নাম লেখানো হলো না।

তবে রাফিনহা তার গোল নিয়ে কিছুটা চিন্তিত ছিলেন। কারণ কুবার্সির শট নেওয়ার সময় রাফিনহা অফসাইডে ছিলেন কিনা, সেটি চেক করেছিল ভিএআর। যদিও শেষ পর্যন্ত হতাশাজনক কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। বার্সার অনুকূলেই কথা বলেছে ভিএআর।

ম্যাচ শেষে সতীর্থ কুবার্সির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন রাফিনহা।

২৮ বছর বয়সী তারকা সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রথম গোলটা নিয়ে একটু চিন্তায় ছিলাম, যদি অফসাইড হয়ে যেত। ভালো হয়েছে যে সেটি গোল হয়েছে। আমি কুবার্সির কাছে ক্ষমা চেয়েছি। ও (কুবার্সি) বলেছে, চিন্তার কিছু নেই। এটাকে অ্যাসিস্ট হিসেবে ধরবে। আমি ভেবেছিলাম বলটা বাইরে চলে যাবে। একেবারে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সেটি করেছিলাম।’

এটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চলতি মৌসুমে রাফিনহার ১২তম গোল। যা অন্য যেকোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে বেশি। এছাড়াও লেওয়ানডস্কি ও ইয়ামালের গোলেও অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। এতে তার অ্যাসিস্ট সংখ্যা দাঁড়ালো ৭।

চলতি মৌসুমে মোট ১৯টি গোলে অবদান (গোল + অ্যাসিস্ট) রেখে বার্সার হয়ে লিওনেল মেসির সেরা পারফরম্যান্সের সমতায় পৌঁছেছেন রাফিনহা।

রাফিনহা আরও বলেন, সেরা মানের খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলতে ভালোবাসি। আমরা মাঠে একে অপরকে খুব ভালো বুঝি এবং সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দারুণ পরিসংখ্যান গড়ছি এবং এমনভাবেই এগিয়ে যেতে চাই।

প্রথম লেগে দুর্দান্ত জয় বার্সাকে ২০১৯ সালের পর প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বায়ার্ন মিউনিখ অথবা ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হবে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।

(ওএস/এএস/এপ্রিল ১০, ২০২৫)