বকেয়া টাকা চেয়ে বিসিবি সভাপতিকে ক্রীড়া পরিষদের চিঠি
স্পোর্টস ডেস্ক : নিয়ম অনুসারে দেশের ফেডারেশন বা এসোসিয়েশনগুলো কর্তৃক আয়োজিত টুর্নামেন্টের প্রাপ্ত গেটমানির (টিকিট) ১৫ শতাংশ ও প্রচার স্বত্বের আয় হতে (ভ্যাট, আয়কর ব্যতীত) ১০ শতাংশ অর্থ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে প্রদান করতে হয়। তাই এই দুই খাতের অর্থ চেয়ে বিসিবিকে চিঠি পাঠিয়েছে ক্রীড়া পরিষদ।
সবশেষ বিপিএলে ১০ কোটি টাকার বেশি টিকিট বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। টিকিট বিক্রির অঙ্ক নিজেই প্রকাশ করেছেন বিসিবি সভাপতি। ফলে এই অঙ্কের ১৫ শতাংশ অর্থ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে কোটি টাকার ওপর প্রাপ্য।
গত দুই অর্থ বছরে আরও অনেক আন্তর্জাতিক, ঘরোয়া সিরিজ মিলিয়ে বেশ বড় অঙ্কের টাকা পাওয়ার কথা শুধু গেটমানি বাবদই। আর প্রচার স্বত্ত্ব অনেক বড় অঙ্কে বিক্রি করে বিসিবি। সেটির থেকেও দশ শতাংশ প্রাপ্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
বুধবার (৯ এপ্রিল) এসব বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদকে চিঠি দিয়েছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম।
প্রায় একযুগ ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্বে ছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। তাই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অভিভাবক সংস্থা হলেও টিকিট ও প্রচার স্বত্বের সঠিক হিসাব আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে বিগত সময়ে।
২০০৭-২০২২ পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ২ কোটি ৪২ লাখ ৭৭ হাজার ৩৪৭ টাকা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে প্রদান করেছে গেটমানি বাবদ। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ প্রাপ্ত এই অর্থকে প্রকৃত প্রাপ্যের তুলনায় অনেক কম এবং বাস্তবসম্মত মনে করে না। কাঙ্ক্ষিত মাত্রার চেয়ে গেট মানির হিসাব কম পেলেও প্রচার স্বত্বের এখনও কিছুই পায়নি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
২০১৯-২২ অর্থ বছরে বিসিবি গেটমানি বাবদ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে ৫৩ লাখ ৪৫ হাজার ৯৭৭ টাকা প্রদান করেছে। তাই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ২০২২-২৩ অর্থ বছর হতে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক খেলা আয়োজনের প্রাপ্ত গেট মানির ১৫ শতাংশ ও প্রচার স্বত্বের আয়ের ১০ শতাংশ টাকা প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছে।
(ওএস/এসপি/এপ্রিল ০৯, ২০২৫)