পাংশা হাসপাতালে এমএসআরের কাজের টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি : রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০২৪-২০২৫ সালের এমএসআর (মেডিকেল ও সার্জিক্যাল রিকোয়েরমেন্ট) কাজের টেন্ডার নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
টেন্ডারের নিয়মানুযায়ী প্রথম সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দিয়ে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ দেওয়ার অভিযোগ করেছেন পাংশা উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ সহিদুল ইসলাম খোকন মিয়া।
সোমবার (৭ এপ্রিল) রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর তিনি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। মো: সহিদুল ইসলাম খোকন মিয়া নিজেই এই অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন,রাজবাড়ী জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে এমএসআর (মেডিকেল ও সার্জিক্যাল রিকোয়েরমেন্ট) কাজের জন্য ৯ ফেব্রুয়ারী ইংরেজি ডেইলি সান পত্রিকাসহ আরও কয়েকটি পত্রিকায় দরপত্র আহ্বান করা হয়। আমি উক্ত বিজ্ঞপ্তির আলোকে এস,এ সার্জিক্যালের পক্ষে দরপত্র দাখিল করি।পরবর্তীতে দরপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় আমার প্রতিষ্ঠান সর্বনিম্ন দরদাতা হওয়া সত্ত্বেও এমএসআর এর কাজ দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বনিম্ন দরদাতা কে দেয়া হয়েছে। যা সরকারি নীতিমালা পরিপন্থী।
তিনি অভিযোগ পত্রে আরও উল্লেখ্য করেন, পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: এবাদত হোসেন দুর্নীতি ও স্বজন প্রীতি করেছে।
পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.এবাদত হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন , প্রথম সর্বনিম্ন দরদাতার প্রতিষ্ঠানের কিছু কাগজপত্রের ঘাটতি ছিল। যার কারণে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতা কাজটি পেয়ে গেছেন। এখানে তাদের কোন হাত নেই। এখন সবই অলনাইনের মাধ্যমে করা হয়।
তিনি আরও বলেন, অভিযোগ কারীর সাথে এস,এ সার্জিক্যাল প্রতিষ্ঠানের কোন সম্পর্ক নাই। অভিযোগ কারী এস,এ সার্জিক্যাল প্রতিষ্ঠান কে দরপত্র পাইয়ে দিতেই আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করে চলছে।
(একে/এসপি/এপ্রিল ০৭, ২০২৫)