আশাশুনিতে বেঁড়িবাধ ভাঙন কবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়ায় বেঁড়িবাধ ভাঙন কবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট গ্রামে উক্ত ত্রাণ বিতরণ করেন, ৫৫ পদাতিক ডিভিশন যশোর সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল জেএম ইমদাদুল ইসলাম।
এসময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ১০৫ পদাতিক বিগ্রেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহি অফিসার কৃষ্ণা রায়, পানি উন্নয়বোর্ড খুলানা বিভাগীয় তত্বাবধায়ক সৈয়দ শাহিদুল আলম, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-২ এর নির্বাহি প্রকৌশলী মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুসসহ অন্যান্যরা।
এসময় জিওসি মেজর জেনারেল জেএম ইমদাদুল ইসলাম, দূর্যোগ আক্রান্ত ভুক্তভোগীদের পাশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল সদস্য নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাবে বলে সবাইকে আশ্বস্ত করেন।
ত্রান বিতরন অনুষ্ঠান থেকে আরো জানানো হয়, উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট গ্রামের ভাঙন কবলিত এলাকার রিংবাঁধ নির্মাণ ও ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের সহায়তায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের সেনাসদস্যগণ পানিউন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে বাঁধ মেরামতের কাজ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে স্থানীয় জনগন এবং পানিউন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় দুই পাশ থেকে রিংবাধ নির্মাণের তৃতীয় স্তরের কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য ঃ গত ৩১ মার্চ আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট গ্রামের দেড়’শ ফুট জায়গা জুড়ে বেঁড়িবাধ ভেঙে খোলপেটুয়া নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায় এবং বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। পানিবন্দি হয়ে পড়ে হাজার হাজার মানুষ। পানিতে ভেসে যায় প্রায় ৪ হাজার বিঘা মৎস্য ঘের এবং ২১ হেক্টর জমির ফসল। বিধ্বস্ত হয় শতাধিক কাঁচাঘর বাড়ি।
(আরকে/এএস/এপ্রিল ০৭, ২০২৫)