তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : ব্যাপক অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিউদ্দিন খানকে থানা থেকে ক্লোজড করা হয়েছে। তাকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

আজ রবিবার দুপুরে ওই ওসিকে ক্লোজড করা হয়েছে বলে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান জানিয়েছেন।

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। তারপর থেকে সাধারণ মানুষকে মামলার আসামি করার ভয় দেখিয়ে হয়রানী, অর্থ আদায় ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিউদ্দিন খানের বিরুদ্ধে। এমনকি কাশিয়ানী সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য জাকির হোসেনের কাছ থেকে এসি চাওয়ার একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়ে। এটি ভাইরাল হয় এবং জেলাব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। এতে নড়েচড়ে বসে জেলা পুলিশ।

এ ঘটনার তদন্তে গতকাল শনিবার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন পুলিশ সুপার। কমিটিকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার নিদের্শ দেন জেলা পুলিশের সর্বোচ্চ এ কর্মকর্তা । কিন্তু ৪৮ ঘন্টা পার না হতেই তদন্তের স্বার্থে কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিউদ্দিন খানকে কাশিয়ানী থানা থেকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করেন পুলিশ সুপার।

এ ব্যাপারে কাশিয়ানী থানার ওসি মো. শফিউদ্দিন খান তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, এসবের কোনও সত্যতা নেই। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এজন্য তাদের লোকজন প্রযুক্তির ব্যবহার করে মিথ্যা কল রেকর্ড তৈরী করেছে। কল রেকর্ডের কন্ঠ তার নয় জানিয়ে ওসি বলেন, অভিযোগকারী ইউপি সদস্যের সাথে আমার একবার মাত্র দেখা হয়েছে। মোবাইলে তার সাথে কখনো কোন কথা হয়নি বলে জানান ওসি। তবে তিনি কাশিয়ানী থানা থেকে গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইনে এসছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তাই তদন্তের স্বার্থে কাশিয়ানী থানার ওসি মো. শফিউদ্দিন খানকে থানা থেকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান এসপি মোঃ মিজানুর রহমান।

(টিবি/এসপি/এপ্রিল ০৬, ২০২৫)