বরিশালে সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর

আঞ্চলিক প্রতিনধি, বরিশাল : দক্ষিণ জেলা কৃষকদলের আহবায়ক এইচএম মহসিন আলমের নেতৃত্বে সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এরপূর্বে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত নয়টার দিকে নগরীর কাশিপুর শের-ই বাংলা আঞ্চলিক সমবায় একাডেমির পিছনে সাংবাদিকের মাসুদ রানার বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। মাসুদ রানা নিউ ন্যাশন ও প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার বরিশাল প্রতিনিধি, সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি বাংলাদেশের জেলা সভাপতি এবং বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য।
সাংবাদিকের বাড়িতে হামলার খবর পেয়ে রাতেই বরিশালের কর্মরত সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এসময় সাংবাদিকদের সামনেই আবারো ২০/৩০টি মোটরসাইকেল নিয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ওয়ার্ড সভাপতি (কৃষকদলের আহবায়কের মেয়ে জামাতা) ইফাত মোল্লার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা মহড়া দেয়। তারা নানান বাক্যে সাংবাদিকদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদর্শন করেন।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাসুদ রানা বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত নয়টার দিকে দক্ষিণ জেলা কৃষকদলের আহবায়ক মহসিন আলমের নেতৃত্বে তার মেয়ে জামাতা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ইফাত মোল্লাসহ তাদের ৫০/৬০ জন সহযোগিরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার (মাসুদ রানা) বাড়িতে অর্তকিতভাবে হামলা চালায়। হামলাকারীরা বিভিন্ন অজুহাতে দীর্ঘদিন থেকে সাংবাদিক পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে এ হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় বাড়ির পুরুষ সদস্যরা বাসায় না থাকায় তারা প্রাণে বেঁচে যায়। তবে হামলাকারীদের বাঁধা দিতে গিয়ে সাংবাদিক মাসুদ রানার মা আহত হয়েছেন।
অভিযুক্ত দক্ষিণ জেলা কৃষক দলের আহবায়ক এইচএম মহসিন আলম সাংবাদিকের বাড়িতে হামলার সাথে জড়িত থাকার কথা পুরোপুরো অস্বীকার করে বলেন, আমি বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) বরিশালেই ছিলাম না। এয়ারপোর্ট থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকির শিকদার বলেন, সাংবাদিকের বাসায় হামলার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। ওসি আরও বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ ইতোমধ্যে অভিযান শুরু করেছে।
অপরদিকে সাংবাদিকের বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরসহ প্রাণনাশের হুমকির ঘটনার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে বিবৃতী দিয়েছেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের (বিএমএসএফ) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আনিসুর রহমান খান স্বপন, সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা।
(টিবি/এসপি/এপ্রিল ০৪, ২০২৫)