রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : ধান খেতে পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে এক চা বিক্রেতাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত বুধবার দুপুর একটার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর সানাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এক দম্পতিকে আটক করেছে। 

নিহত চা বিক্রেতার নাম- আনারুল ইসলাম (৪৭)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর গ্রামের আমের আলীর ছেলে।

আটককৃতরা হলেন- ধুলিহর সানাপাড়ার লক্ষ্মণ চন্দ্র পাল (৫০) ও তার স্ত্রী নমিতা পাল।

নিহত আনারুল ইসলামের ভাই মনিরুল ইসলাম মনি জানান, তার ভাই আনারুল ইসলাম ব্রহ্মরাজপুর বাজারে চা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতো। একই সাথে সে এবার আট শতক জমিতে বোরো চাষ করে। বোরো চাষের জন্য প্রতিবেশী লক্ষ্মণ পালের শ্যালো মেশিন থেকে চুক্তিভিত্তিক পানি নিতো। বুধবার দুপর একটার দিকে জমিতে পানি কম দেওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে লক্ষ্মণ পালের স্ত্রী নমিতা পালের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে। ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে নমিতা পাল লাঠি দিয়ে তার ভাই আনারুলের মাথায় আঘাত করে। এতে আনারুল মাটিতে পড়ে যায়। সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে আনারুল মারা যায়। যদিও ঘটনার পর লক্ষ্মণ পাল বাড়ি এলে পুলিশ তাকেসহ তার স্ত্রী নমিতাকে আটক করে।

স্থানীয় আবু সাঈদ ও আমিনুল ইসলাম জানান, আনারুলে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ায় একটি মহল লক্ষণ পালের বাড়ি ভাংচুর করতে উদ্যত হয়। প্রশাসন ও স্থানীয়রা তাতে বাধা দেয়। এ সময় লক্ষ্মণ পালের গোয়ালের তিনটি গরু পার্শ্ববর্তী আশরাফুলের জিম্মায় রাখা হয়।

এ ব্যাপারে কলেজ ছাত্র জয় কুমার পাল বলেন, খেতে পানি কম দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগে আনারুল ইসলাম তার মাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলে আত্মরক্ষার্থে তার মা লাঠি দিয়ে আঘাত করলে আনারুল পড়ে যেয়ে আহত হয়।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক সুশান্ত কুমার ঘোষ জানান, আনারুল হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে লক্ষ্মণ পাল ও তার স্ত্রী নমিতা পালকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

(আরকে/এসপি/এপ্রিল ০৩, ২০২৫)