তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় কাতার প্রবাসীর জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। তারপরও প্রবাসী মিজানুর রহমানের জমি থেকে মাটি কেটে চলেছে প্রতিপক্ষ। 

অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার শ্রীরামকান্দি গ্রামের মৃত সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে প্রভাবশালী রুহুল আমিন মোল্লা (৬৫) ও তার দুই ছেলে সবুর মোল্লা এবং কচি মোল্লা।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ১৪৪ নং শ্রীরামকান্দি মৌজার এসএ ১৭৯৪ দাগের ১৯.৫০ শতাংশ জমির মালিক প্রবাসী মিজানুর রহমান। ১৯৯৪ সালে প্রতিবেশী আরোজ আলীর কাছে থেকে একই দাগে ১৯.৫০ শতাংশ জমি কিনে মোট ৩৯ শতাংশ জমির মালিক হন মিজানুর। কিন্তু ২০০০ সালে মিজানুরের টাকার প্রয়োজন হয়। তখন তিনি ওই জমি থেকে ২৮.৫০ শতাংশ জমি রুহুল আমিন মোল্লার কাছে বিক্রি করেন। এছাড়া কয়েক বছর আগে মিজানুরের চাচা অন্য দাগ থেকে রুহুলের কাছে ১০ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। কিন্তু চাচার কাছ থেকে ক্রয়কৃত জায়গায় ঘর তোলেন নি রুহুল মোল্লা। তিনি মিজানুরের জায়গা দখলে নিতে অস্থায়ী টিনের ঘর উঠিয়ে রাখেন। বর্তমানে ওই জায়গা থেকে মাটি কেটে চলেছেন প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ রুহুল আমিন ও তার ছেলেরা।

এ বিষয়ে কাতার প্রবাসী মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে অবস্থান করছি। কিন্তু টাকার প্রয়োজনে শ্রীরামকান্দি মৌজার এসএ ১৭৯৪ দাগের ২৮.৫০ শতাংশ জমি রুহুলের কাছে বিক্রি করি। পরে সে আমার চাচার কাছ থেকে অন্য দাগে ১০ শতাংশ জমি কেনার পর থেকে আমার জায়গা দখলের পাঁয়তারা করছে। সেই বিষয়ে প্রতিবাদ করায় আমি দেশে ফিরলে আমাকে হামলা ও মামলার হুমকি দিচ্ছে। এছাড়া এসব ভূমিদস্যুরা এলাকায় বংশগত দিক দিয়ে ব্যাপক প্রভাবশালী। তারা আমার জায়গা দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা কেয়ার টেকারকে হত্যা-ধর্ষণ মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছে। আর আমি আমার জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত। তাই দেশেও ফিরতে ভয় পাচ্ছি। এই ভূমিদস্যদের কাছ থেকে মুক্তি পেতে আমি সরকার ও প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রুহুল আমিন মোল্লা বলেন, আমি যেখানে ঘর উঠিয়েছি ও মাটি কাটছি সেই জায়গাটা মিজানুর রহমানের ৩৩ বছর আগে ভোগদখলে ছিলো। কিন্তু আমি তার চাচার কাছ থেকে জমি কেনার পর থেকে জায়গাটা আমি ভোগদখল করে আসছি। মিজান যেটুকু জায়গা পাবে সেটা অন্যপাশে রেখে দেয়া হয়েছে।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মঈনুল হক বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পাওয়ার পরে যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(টিবি/এসপি/মার্চ ২৬, ২০২৫)