সোনাতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রিপ্রেজেন্টটিভদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ট রোগীরা

বিকাশ স্বর্নকার, সোনাতলা : বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ব্যাপক দৌরাত্ম বেড়েছে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভদের। অভিযোগ আছে তাদের কাছে নাকি এক রকম জিম্মি থাকতে হয় চিকিৎসকের। প্রায়দিন বেলা দশটার পর থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বীরদর্পে পুরো হাসপাতাল চষে বেড়াচ্ছেন ৮/১০জন রিপ্রেজেন্টেটিভ।
তবে এ বিষয় নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিরোব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন এবং দায়সারা বক্তব্য তার। যদিও ঔষুধ কোম্পানির এসব রিপ্রেজেন্টিভদের দাবি তারা নাকি বিভিন্ন প্রকারের ঔষধ সহ নানা ধরনের নামিদামি উপহার সামগ্রী উপঢৌকন হিসেবে ডাক্তারদের দিয়ে থাকেন। তাদের দাবি এসব উপঢৌকোনের বিনিময়ে ঠিকমতো তাদের কোম্পানির ঔষুধ চিকিৎসকেরা লিখছে কিনা এটি দেখার জন্যই ভিড় জমায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোগিরা প্রেসক্রিপশন দিতে না চাইলে তারা এক প্রকার জোর করেই রুগীর কাছে থেকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে ছবি উঠান। একজন ভুক্তভোগী রুগী জানালেন, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাহিরে বের হওয়া মাত্রই একদল লোক এসে হাজির, চাইলো প্রেসক্রিপশন। তিনি জানান তিনি রোজা আছেন বলার পরও তার কাছ থেকে প্রেসক্রিপশনটি নিয়ে চলে একের পর এক ছবি উঠানোর পালা। তবে বেশকিছু রোগী রিপ্রেজেন্টেটিভদের এমন কর্মকাণ্ডে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এবং তারা এসব কর্মকাণ্ড বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট।
স্থানীয়রা জানান, রিপ্রেজেন্টেটিভদের দৌরাত্ম ব্যাপক এবং প্রায় সময়ই রোগীদের সাথে প্রেসক্রিপশন টানাহেঁচড়া নিয়ে বাঁধে ঝুট ঝামেলা। সোনাতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ ইসমে শারমা তাজমিনকে জানলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন রিপ্রেজেনটিভ দের দৌরাত্মের কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শারমিন কবিরাজ কে সার্বিক পরিস্থিতির কথা বললে তিনি সাংবাদিককে বলেন আপনার বাড়ি কোথায় নিশ্চয়ই সোনাতলায়। রিপ্রেজেন্টেটিভ দের বিষয়টি কেনা জানে,এটি শুধু আমাকেই দেখতে হবে আপনারা কি করেন? তার কাছে প্রশ্ন ছিল ঔষধ কোম্পানির লোকেরা বলছে তারা নাকি উপঢৌকন স্বরুপ বিভিন্ন রকমের ঔষধ,অন্যান্য সামগ্রী চিকিৎসকে ফ্রি দিয়ে থাকেন।
এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমি তো ফ্রি পাইনা যদি কেউ পেয়ে থাকে সে বুঝবে।তিনি আরো বলেন এমনিতেই প্রতিষ্ঠানটিতে জনবল কম,তবে আমি চেষ্টা করবো যাতে করে এসব রিপ্রেজেন্টেটিভরা এভাবে রোগীদের বিব্রত না করে।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন সাংবাদিককে জানিয়েছেন, আজকে মিটিং আছে অবশ্যই সোনাতলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো।
(বিএস/এএস/মার্চ ২৫, ২০২৫)