স্পোর্টস ডেস্ক : তামিম ইকবাল তিন মাসের মধ্যে তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন। এরপর চাইলে খেলায় ফিরতে পারবেন। মঙ্গলবার সাভারের কেপিজে হাসপাতালে তামিমের সর্বশেষ অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর এ খবর নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী।

ডা. আবু জাফর বলেছেন, ‘‘উনার শারীরিক অবস্থা আশাব্যঞ্জক। কিন্তু উনার যেই চিকিৎসা হয়েছে তাতে অ্যাকশন-রিক্যাশন হতে পারে। আবার যে-ই রিং লাগানো হয়েছে সেটাও কাজ না করতে পারে। সেই ঝুঁকি রয়েছে। আমরা তাদের পরিবারকে বুঝিয়েছি। এ মুহূর্তে তার মুভ করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সেই বিষয়ে তামিমের সঙ্গেও কথা বলেছি। এটা স্বাভাবিক যে সর্বোচ্চ চিকিৎসা যেখানে থাকবে সেখানে মানুষ যেতে চাইবে। কিন্তু তার জন্য যাওয়াটা নিরাপদ কিনা সেটাও ভেবেছি। তবে তারা আমাদের ডাক্তারদের সিদ্ধান্তকে সম্মান করছে।’’

‘‘উনি এই তিন মাস আন্ডার অবজারভেশনে থাকবেন। উনার শারীরিক অবস্থা কি, উন্নতি হচ্ছে নাকি অবনতি হচ্ছে সেসব বিবেচনা করে দেখা হবে। তার মেডিকেল বোর্ড তাকে অনুমতি দিলে সে খেলতে পারবে।’’ – যোগ করেন তিনি।

তামিমের পরবর্তী করণীয় কী হতে পারে সেই ধারণা দিয়েছেন ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী, ‘‘এখন যে সময়টা সে কিন্তু বাথরুমে যেতে পারবেন কিন্তু কারো সাথে থাকা উচিত। এখন তো সে ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা অবজারভেশনে আছেন। এখান থেকে বের হওয়ার পর সে চাইলে কোনো ভালো জায়গায় যেতে পারেন। আমরা পাঁচদিন পর রোগি ছেড়ে দেই। এরপর কিন্তু বলি, সাত দিন হাউজ রেস্টে থাকতে হবে। বাসায় বসে বসে টিভি দেখ, কথা বলো। হাঁটাহাঁটি করো। কিন্তু বাইরে যেও না। আস্তে আস্তে বাইরে যাবে। সিঁড়ি দিয়ে উঠা-নামা করো।’’

‘‘শরীরকে এখন সময় দিতে হবে। তামিমকেও সেটা জানানো হয়েছে। প্রত্যেকের টাইম ফোর্স আছে। এর আগে জোরাজুরি করা ঠিক হবে না। তিনমাসের মধ্যে স্টেন্টটাকে বডি নিজের করে নেবে। তারপর তার নিজের সিলের প্রলেপ দিয়ে দেবে। তাই রিক্সফ্যাক্টর না কমালে আবারও এসব হতে পারে। সৌন্দর্য তৈরি করে দিয়েছি। এখন সেটা ধরে রাখার দায়িত্ব তার।’’

(ওএস/এএস/মার্চ ২৫, ২০২৫)