পঞ্চগড়ে সেহরিতে ডাকাডাকির ঘটনায় মাদ্রাসায় হামলা, আহত ১৬
.jpeg)
স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় : পঞ্চগড়ে রমজানের সেহরির রাতে রোজাদারদের ঘুম ভাঙানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষের আক্রমনে এক মাদ্রাসার দুই শিক্ষকসহ ১৬ জন আহত হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার হেফজ শাখার শিক্ষার্থীদের মধ্যে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশু শিক্ষার্থীরা হলো, সিয়াম (১৪), নাঈম (৮), হযরত আলী (১০), রাকিব (১৩), রেজওয়ান (১৪), লাবু (১৪) রিফাত (১২), তালহা (৯), রিয়াদ (৮), সোহাগ (১৪), আরিফ (১৪), জোবায়ের (৮), কায়সার (১২), ফরহাদ (১২), ওমর ফারুক (১৩), লাবিব (১০) ও তাদের দুই শিক্ষক মো. আরিফ হোসের ও মুহতাসিম বিল্লাহ।
গতকাল শনিবার বিকালের দিকে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজবাদ ইউনিয়নের ঠেকরপাড়া এলাকার তেলিপাড়া নেছারিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই মাদ্রাসার পরিচালক মো. বাকী বিল্লাহ আল আফসার, বাদী হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। এই মামলার আসামি করা হয়েছে প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন তেলিপাড়া গ্রামের মো. মমতাজ আলীসহ মোট ৪০ জনকে।
ওই দিনের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত শিক্ষার্থী সোহাগ (১৪) জানান, "আমরা রমজানের শুরু থেকেই সেহরির সময় মাইকে ডাকাডাকি করে এলাকার রোজাদার জাগিয়ে আসছি। কয়েকদিন আগে এই এলাকার কয়েকজন এসে আমাদের নিষেধ করে যায় যে, রাতে যেনো মাইকে আর ডাকাডাকি না করে, এতে তাদের ঘুমের ক্ষতি হয়। আমরা তাদের কথা মতো বেশ কয়েকদিন শেষরাতে ডাকাডাকি বন্ধ রাখি। পরে গ্রামের অনেকেই আমাদের বলেন, আমরা যেনো আগের মত সেহরির সময় তাদের ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলি। তাদের কথা মতো আবারও আমরা শনিবার শেষরাতে মাইকে ডাকাডাকি শুরু করি। ওইদিন আমাদের দুই হুজুর মো. আরিফ হোসেন ও মুহতাসিম বিল্লাহ বিকাল তিনটার দিকে পঞ্চগড় থেকে বাজার করে মাদ্রাসায় ফেরার পথে তাদের মারধর করে, আমরা হুজুদের বাঁচাতে গেলে তারা আমাদেরও এলোপাতাড়ি পিটিয়েছে।"
এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হিল জামান বলেন, 'এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে, আসামি গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত।' এলাকার কেউ বলেছেন, জমি জায়গা নিয়ে গন্ডগোলকে কেন্দ্র ঘটনা ঘটেছে, কেউ বলেছে মানুষের অসুখ-বিসুখ থাকে, রাতে এত ডাকাডাকি মনে হয় ঠিক না।' আবার কেউ বলেছেন শিক্ষার্থীদের নিয়ে পলিটিক্স করা ঠিক না। এ বিষয়ে বিবাদীর সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
(আরএআর/এসপি/মার্চ ২৩, ২০২৫)