বিকাশ স্বর্নকার, সোনাতলা : সমাজ, সামাজিকতা, মানসম্মান, সব কিছু পিছনে ফেলে প্রেমের আগুনে পুড়েছে সম্প্রতি জামাই ও শাশুড়ি। সকল বাধার দেয়াল ছিন্ন করে অজানার উদ্দেশ্যে পারি জমায় তারা। তবে অল্প দিনের মাথায় ধরা খেতে হয় জামাই শাশুড়ি।

সমাজ বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন ধরনের সংগঠন ও সংস্থা রাস্তায় ব্যানার হাতে দাড়িয়ে নারী সংহিতার প্রতিবাদ সহ সম্প্রতি নারীদের হেয় প্রতিপন্ন বা সামাজিক অবক্ষয়ের প্রতিবাদে উত্তাল দেশ। কিন্তু এতেও আমাদের সমাজে পুরুষদের মনস্তাত্ত্বিকের ঘটেনি বিন্দুমাত্র পরিবর্তন। কোনভাবেই রোধ করা সম্ভব হচ্ছে এ ধরনের অপরাধ।

এমন সময়ে সম্প্রতি ঘটেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। দু-সন্তানের এক টগবগে যুবক পেশায় মাছ ব্যবসায়ী। সে বিভিন্ন আরৎ হতে নানা প্রজাতির মাছ কিনে হরিখালী নামক বাজারে বিক্রি করে কোনমতে চলে তার সংসার। সে হলো বগুড়া সোনাতলা উপজেলার হরিখালীর নিকটবর্তী হাঁসরাজ গ্ৰামের অতুল চন্দ্র প্রামাণিকের ছেলে উত্তম চন্দ্র (মৎসজিবি)। এই উত্তম চন্দ্র পার্শ্ববর্তী গাবতলীর ছদ্মনাম (অবিকা রানী)কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উত্তম চন্দ্র গত তের বছর আগে জেলার আদমদীঘির পারইল নামক গ্ৰামের এক সনাতনী রমনীকে ধর্মীয় বিধি-বিধান মতে বিয়ে করে। বর্তমান তাদের ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। এক পর্যায়ে গত ১৯শে মার্চ রাতে ওই রমনীকে নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পারি জমায় উত্তম চন্দ্র।

জানা যায়, ওই রমনীরো নাকি এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান আছে এবং এই প্রেমিক যুগল সম্পর্কে জামাই ও শাশুড়ি। ওই রমনীর নিখোঁজ হলে পরিবার কোন ভাবেই বিশ্বাস করতে পারেনি এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।

হরিখালী সহ ওই গ্ৰামের নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কিছু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, উত্তম চন্দ্র ছোট বেলা থেকেই চালাক প্রকৃতির ও কৌশলবাজ তবে ধীরে ধীরে বড় হয়ে যুবক বয়স হলে তার চালাকি ও চাতুরামীর মাত্রা ব্যাপক বেড়ে যায়। প্রচার আছে এই উত্তম নাকি ইতিপূর্বে এক রমনীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সর্বশান্ত করে। তাদের কথায় এই উত্তম চন্দ্র ওই গ্ৰামে ক্রিমিনাল হিসেবে ব্যাপক পরিচিত। তা

রা আরো জানান, সম্পর্কে ওই রমনী উত্তম চন্দ্রের মাসি শাশুড়ি হয় (খালা শাশুড়ি)। তবে ঘটনাটি রিতিমত এলাকা সহ হাটবাজারের চা-স্টলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে ব্যাপক সারা ফেলেছে।

(এসবি/এসপি/মার্চ ২২, ২০২৫)