ঈশ্বরদী প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাবা, মা ও শিশু সন্তানের মরদেহ পাশাপাশি কবরে সমাহিত করা হয়েছে। শুক্রবার (২০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ ঘটিকায় পাকশী ইউনিয়নের দিয়ার বাঘইল কেন্দ্রীয় মসজিদ মাঠে নামাজে জানাযা শেষে মসজিদ সংলগ্ন কেন্দ্রীর কবরস্থানে তাদের ৩ জনেরই দাফন সম্পন্ন করা হয়। জানাযায় সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহন করেন।

শুক্রবার সকালে রাব্বির বাাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, শিশুসহ একই পরিবারের ৩ জনকে হারানোর পরিবারে বইছে শোকের মাতম। ছেলে, পুত্রবধু ও একমাত্র নাতিকে হারিয়ে পাগলপ্রায় রাব্বির মা। বিলাপ করছে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। তাদের মৃত্যুর খবর শুনে রাব্বির বাড়িতে এলাকাবসীদের ভিড়। পিতৃহারা রাব্বি হোসেন ছিলেন পরিবারের একমাত্র কর্মম ব্যাক্তি। তার মৃত্যুতে অনিশ্চিত গন্তব্যে এখন ওই পরিবার।

বৃহস্পতিবার ( ২০ মার্চ ) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে ঈশ্বরদী-ঢাকা মহাসড়কের বহরপুর কান্দিপাড়া এলাকায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার সাথে বাসের মূখোমূখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৩ জনসহ নিহত হয় পাঁচ জন। ঈদের কেনাকাটা শেষে দাশুড়িয়া এলাকায় শ্বশুরবাড়ীতে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী ও একমাত্র শিশু সন্তানসহ নিহত হন রাব্বি হোসেন।

রাব্বি হোসেন ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের দিয়ার বাঘইল এলাকার মৃত বাবু হোসেনের ছেলে। রূপপুর পারমানবিক এলাকায় তার একটি মুদি দোকান ছিল। তার অকাল মৃত্যুতে স্তব্ধ হয়ে গেছে পরিবার ও এলাকাবাসী।

নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩ বছর আগে ভালোবাসার সম্পর্কের পর পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় রাব্বি দম্পত্তি। বিয়ের দেড় বছরের মাথায় একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্মদেন মুক্তা খাতুন। পারিবারিক কলহের জেরে বিগত পাঁচ মাস যাবত বাবার বাড়িতেই অবস্থান করছিল মুক্তা। পারিবারিক বিবাদ ফয়সালা হওয়ায় আজ শুক্রবার (২১ মার্চ) শ্বশুর বাড়ীতে ফিওে যাওয়ার কথা ছিলো মুক্তা খাতুনের। সেজন্য বৃহস্পতিবার ঈশ্বরদী বাজার থেকে কেনাকাটা শেষে বাবার বাড়ী দাশুড়িয়া ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামে স্বামী ও সন্তান নিয়ে ফিরছিলেন তারা। কিন্তু পথেই সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী ও সন্তানসহ মারা যান মুক্তা খাতুন।

এই দুর্ঘটনায় অন্য নিহতরা হলেন ঈশ্বরদী পিয়ারপুর এলাকার রানার ছেলে মোস্তফা জামান তোহা (২৫) এবং ঝিনাইদহ শৈলকুপা উপজেলার রতিডাভা এলাকার আশরাফুল ইসলামের ছেলে রাতুল হোসেন (৩০)।

ঈশ্বরদী থাসার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম শহীদ বলেন, দুর্ঘটনায় মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘাতক বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

(এসকেকে/এসপি/মার্চ ২১, ২০২৫)