মো: আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : বাংলাদেশ সহ বিশ্বের ভ্রমণ পিপাষু পর্যটকদের কাছে পর্যটন সমৃদ্ধ উপজেলা হিসেবে ম্ব-গৌড়বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে শ্রীমঙ্গল। স্রষ্টার অপূর্ব সৃষ্টি এখানকার নয়নাভিরাম প্রকৃতি। দর্শনার্থী সহ প্রতিদিন হাজারও পর্যটকের পদভারে মুখর থাকে এই জনপদ। উঁচুনিচ পাহাড়-টিলা আর সারিসারি চাবাগান, অসংখ্য ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠির বসবাস, স্বতন্ত্র সংস্কৃতিক বৈশিষ্ট এখানকার পর্যটন শিল্পকে করেছে অনেকটা সমৃদ্ধ। বিশেষ করে পাশের উপজেলা কমলগঞ্জের বিরল প্রজাতির উদ্ভিদ আর নানা প্রজাতির বিচিত্র সব বন্যপ্রানী সমৃদ্ধ সবুজ বন লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, শ্রীমঙ্গলের চা মিউজিয়াম, হাইল হাওরের বাইক্কাবিল ও মায়াবী প্রকৃতির অন্যন্য দর্শনীয় স্থান দার্জিলিং টিলা পর্যটকদের সবচেয়ে পছন্দের স্থান। 

পর্যটকদের জন্য এখানে পাঁচতারকা মানের হোটেল, রিসোর্ট, গেষ্ট হাউজ সহ বেসরকারী খাতে কিছুটা উদ্যেক্তা তৈরি হলেও সরকারিভাবে তেমন সুযোগ-সুবিধা এখনো নিশ্চিত হয়নি। তবে এখানকার পর্যটন এলাকা গুলোতে যাতায়াতের প্রধান সড়ক শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়কটি বেশ পরিপাটি হলেও রাতের বেলা সড়কটিতে পর্যটকদের নির্ভিগ্নে চলাচলে পর্যাপ্ত সড়ক বাতির সল্পতা রয়েছে। এছাড়াও পর্যটন এলাকার অন্যান্যা সড়ক গুলোও সংস্কারের দাবি সচেতন মহলের।

এদিকে পর্যটন এলাকার সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো: ইসরাইল হোসেন গত সোমবার রাতে জেলা প্রশাসকের ব্যবহৃত ফেসবুক পেজে পোস্ট দেন। পোস্টে জেলা প্রশাসক পর্যটন এলাকার ৯ কিলোমিটার সড়কে সোলার লাইট স্থাপনের বিষয়টি উল্লেখ করেন।

সূত্রে জানা যায়, জেলার পর্যটন খাতকে বিকশিত করার লক্ষ্যে এবং পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ইউডিজিপি প্রকল্পের আওতায় শ্রীমঙ্গল উপজেলায় মহাজেরাবাদ-রাধানগর এবং নীলকন্ঠ-কালীঘাট সড়কে প্রায় ৯ কিলোমিটার সড়কে বসছে সোলার লাইট। এতে ব্যায় ধরা হচ্ছে ৪৩ লাখ টাকা। এসব স্থানে সর্বমোট ১২৭টি সোলার লাইট স্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে। সোলার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ। ইতিমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়াও চুড়ান্ত হয়েছে। চলতি সাপ্তাহেই কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: ইসলাম উদ্দিন জানান, এলাকাটি রিসোর্ট ও পর্যটন প্রধান এলাকা হিসেবে সন্ধ্যার পর চারিদিকে অন্ধকার নেমে আসে। স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে উপজেলা পরিষদ উদ্যেগ নিয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রকল্পটির কাজ শেষে পরবর্তী ৩ বছরের মধ্যে প্রাকৃতিক কোন কারণে নষ্ট হলে এটি পুনরায় সংস্কার ও স্থাপন করা হবে।

মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো: ইসরাইল হোসেন জানান, আমাদের ট্যুরিষ্ট যারা আসবে তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে তারা যেন নির্ভিগ্নে চলাফেরা করতে পারে সেজন্য সড়কগুলোতে সোলাই লাইট স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়াও এখানকার পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা খ্বু শীঘ্রই গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে পারবেন বলে জানান তিনি।

(একে/এসপি/মার্চ ১৮, ২০২৫)