সালথায দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাংচুরের অভিযোগ

সালথা প্রতিনিধি : ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সালথা বাগবাড়ি এলাকায় স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও বাড়িঘর ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে । রবিবার (১৬ মার্চ) এঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ থাকলেও আহতের খবর পাওয়া যাযনি ।
জানা যায়, সন্ধ্যার আগে সালথা বাজারে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, বিএনপি নেতা আসাদ মাতুববরের সমর্থক আফতাব মৃধা ও জামায়াতে ইসলামের নেতা জাহাঙ্গীরের সমর্থক মাওলানা হারুন মাতুব্বরের মধ্যে কথা কাটা কাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে ইফতারির পরে বাগবাড়ি এলাকায় একটি দোকানের সামনে তুরাফ মৃধাকে ধাওয়া দেয় মাওলানা হারুন মাতুব্বর। এক পর্যায় দুই পক্ষ সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। এসময় কয়েকটি বাড়ী ভাংচুর করা হয়।
এ বিষয়ে জামাত ইসলামের নেতা জাহাঙ্গীর মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, আধিপত্য বিস্তারের লক্ষে কিছুদিন আগে আছাদ মাতুববর এলাকার লোকজন ডাকে। সেখানে আমার পক্ষের কিছু লোক যায় না, যে কারণে সে ক্ষিপ্ত আমি আগেই জানি। গত ২৯ অক্টোবর আমার একটি প্রোগ্রামে এলাকার লোক আসলে পরে আসাদ তাদের নিষেধ করে। আজ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতা দেখানোর জন্য আমার পক্ষের লোকজনের উপর হামলা করে এবং ৭/৮ টি বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে।
এ বিষয় সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপির নেতা আছাদ মাতুববর সাংবাদিকদের জানান, জামাত ইসলামের নেতা জাহাঙ্গীর মোল্লাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য গ্যাঞ্জাম সৃষ্টি করছে। আমি কোন গ্যাঞ্জামের পক্ষে না। ঘটনার সময় আমি সালথা কলেজে ছাত্রদলের ইফতার মাহফিলে ছিলাম। খবর পেয়ে থানায় ফোন দেই সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের জন্য । জানতে পারি বাগবাড়ী দোকানের সামনে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় স্থানীয়রআওয়ামী লীগ নেতা মাওলানা হারুন মাতুববর ঢাল কাতরা নিয়ে তুরাফ মুধা কে হামলা চালায় এরপর সংঘর্ষ বেঁধে যায়। তিন চারটি বাড়ির ব্রারা কেটে ফেলে। জাহাঙ্গীর মোল্লা আমার বিরুদ্ধে সব মিথ্যা বলেছে।
এ বিষয়ে সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আতাউর সাংবাদিকদের জানান, গ্যাঞ্জামের খবর পেয়ে পুলিশ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ আনে। এখন এলাকা শান্ত আছে। অভিযোগ পেলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(এএনএইচ/এএস/মার্চ ১৭, ২০২৫)