শফিকুল ইসলাম, ফুলপুর : ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ জাকির হোসাইনের বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। 

রোগীদের সাথে খারাপ আচরণ, অনিয়ম ও প্রেসক্রিপশনে অতিরিক্ত ঔষুধ লিখার অভিযোগে আজ রবিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, শিশু ডাঃ জাকির হোসাইন সবসময় রোগীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। প্রায় সময় হাসপাতালের ডিউটিকালীন সময়ে নিজ প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখেন। হাসপাতালে রোগী দেখতে প্রচন্ড অবহেলা করেন। অপরদিকে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখতে খুবই গুরুত্ব দেন। বিভিন্ন ঔষুধ কোম্পানির লোকদের কাছ থেকে কমিশন খেয়ে প্রেসক্রিপশনে অতিরিক্ত ঔষুধ লিখেন। গত কয়েকদিন আগে ৬ মাসের এক শিশুকে ১২ পদের ঔষুধ প্রেসক্রিপশন করেছিলেন। ওই প্রেসক্রিপশনের ৬টি ঔষুধের নামই ছিল কোম্পানির স্ট্যাম্প সিলে লিখা। বিষয়টি পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ফেজবুকে ভাইরাল হয়। ওই ঘটনায় তার ডাক্তারী অভিজ্ঞতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। পরে মানববন্ধনকারীরা ফুলপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে বিক্ষোভ করে।

উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের নাজমুল হাসান বলেন, ডাঃ জাকির হোসাইন আমার ১১ মাসের শিশুকে ৯ পদের ঔষুধ দিয়েছিল। যা খেয়ে আমার বাচ্চা আরো বেশী অসুস্থ হয়েছিল।

রামভদ্রপুর গ্রামের সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ডাঃ জাকির হোসাইন আমার মেয়ের প্রেসকিপশনের পাতা জুড়ে ঔষুধ আর বড়ি লিখে সর্বনাশ করেছিল। সে একজন অস্বাভাবিক ডাক্তার।
পৌরসভার আমুয়াকান্দা গ্রামের নূর মোহাম্মদ বলেন, আমার বাচ্চার সামান্য অসুখে জাকির ডাক্তার ১১ পদের ঔষুধ দিয়েছিল।

স্কুল শিক্ষক মোকাম্মেল হোসেন মিল্টন বলেন, কয়েকদিন আগে বাচ্চাকে নিয়ে ডাঃ জাকির হোসাইনের কাছে গিয়েছিলাম। সে অত্যন্ত খারাপ আচরণ করেছিল। পরীক্ষা না করেই প্রেসক্রিপশন ভর্তি করে এন্টিবোয়টিক দিয়েছিল। সম্ভবত ঔষুধ কোম্পানির সাথে তার কমিশন বাণিজ্য আছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরোও কয়েকজন ভোক্তভোগী জানান, খারাপ আচরণ ও প্রেসক্রিপশনে অতিরিক্ত ঔষুধ লিখা নিয়ে জাকির ডাক্তারের সাথে বেশ কয়েকবার স্থানীয়দের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে।

এছাড়াও শিশু ডাঃ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে বছরের পর বছর ফুলপুর হাসপাতালে কর্মরত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

(এসআই/এসপি/মার্চ ১৬, ২০২৫)