দখলে সংকটাপন্ন খুলনা বিভাগের ৩৭ নদী
.jpg)
সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : দেশে এমন কোন নদী বা জলাধার নেই যা দখলদারদের লোভের শিকার হয়নি। দেশে মোট নদীর ১ হাজার ৮টি নদীর মধ্যে খুলনা বিভাগের ১৩৮টি নদ-নদীর মধ্যে দখলে সংকটাপন্ন ৩৭টি নদী। এরমধ্যে ২১টি নদী প্রবাহমান নেই, আংশিক প্রবাহমান রয়েছে মাত্র ৭টি নদী। বিষ দিয়ে মাছ নিধনের ফলে সুন্দরবনের নদ-নদীর জলজ প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।
আর্ন্তজাতিক নদীকৃত্য দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকালে বাগেরহাটের মোংলা ও পশুর নদীর মোহনায় নদী পরিদর্শন ও নদীতে অবস্থান কর্মসুচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা একথা বলেন। ‘আমাদের নদী গুলো, আমাদের ভবিষ্যত’ শ্লোগানকে সামনে রেখে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), সুন্দরবন রক্ষায় আমরা ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে এদুটি নদী পরিদর্শন ও নদীতে অবস্থান কর্মসুচি আয়োজন করা হয়।
সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’র সমন্বয়কারী, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মোঃ নূর আলম শেখের সভাপতিত্বে আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন অধ্যক্ষ মো. সেলিম, পরিবেশযোদ্ধা মোস্তফিজুর রহমান মিলন, ধরা’র নেতা গীতিকার মোল্লা আল মামুন, নারীনেত্রী কমলা সরকার, সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’র নাজমুল হক, পরিবেশকর্মী ইদ্রিস ইমন, নদীকর্মী হাছিব সরদার, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার ডলার মোল্লা ও মেহেদী হাসান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ হিসেবে গড়ে উঠেছে নদ-নদী গুলো। দেশের অসংখ্য নদী বাংলাদেশের প্রাণ। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন, উজানের দেশগুলোর পানি প্রত্যাহার, দূষণ, দখল, অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও প্রশাসনিক দূর্বলতার কারনে বাংলাদেশের নদীগুলো আজ অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। রামপাল বিদ্যুৎকেকেন্দ্রের দূষণের ফলে সুন্দরবনের নদ-নদীর মাছে বিষাক্ত পদার্থ পাওয়া যাচ্ছে যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। নদী ও সুন্দরবন বিনাশী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করা এখন সময়ের দাবিতে পরিনত হয়েছে। গঙ্গার পানি প্রবাহ হ্রাসের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সুন্দরবনের নদীগুলোতে লবণাক্ততা বাড়ছে। এরফলে ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন ধ্বংস হচ্ছে।
(এস/এসপি/মার্চ ১৪, ২০২৫)