ওসি আবুল খায়েরের সাফল্য
১০ দিনে হালুয়াঘাট থানার অভিযানে কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ, আসামি গ্রেপ্তার

নীহার রঞ্জন কুন্ডু, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহ সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট থানা পুলিশের অভিযানে মার্চ মাসের ১০ দিনে ওফিসার ইনচার্জ ইনেসপেক্টর আবুল খায়েরের চৌকস বুদ্ধিমত্তা ও নিষ্ঠার কারণে অত্যান্ত সফলভাবে চোরাচালানকৃত ভারতীয় মাদক সহ অন্যান্য পণ্য আটক এবং আসামি গ্রেপ্তার সহ মামলা রজু। তিনি অত্র থানায় যোগদানের পরে জেলা পুলিশ সুপারের সুদক্ষ দিকনির্দেশনায় আইনশৃঙ্খলা সহ মাদক নির্মূলে সফলতা এখন শীর্ষ পর্যায়ে।
আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নের পাশাপাশি ওসি আবুল খায়ের সীমান্তবর্তী এই হালুয়াঘাটে যোগদানের পর থেকেই সীমান্তের দিকে কঠোর নজরদারি বাড়ান, এরই ফলশ্রুতিতে স্বাধীনতার মাসে প্রথম ১০ দিনে তিনি আসামি সহ প্রায় কোটি টাকার ভারতীয় মাদক সহ কুখ্যাত মাদক ব্যাবসায়ীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনেন। গত ০২ মার্চ ভারতীয় মদ (কাঁচের বোতল ১০) আটক করেন, যার মুল্য ৫০ হাজার টাকা। গত ৪ মার্চ হালুয়াঘাট থানা ১৭ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করে, যার মুল্য ৮৫.০০০ টাকা, গত ৫ মার্চ ১৮ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করে, যার মুল্য ৯০ হাজার টাকা। একই দিনে ৩৬০০০ পিচ ভারতীয় জেলিড ব্লেড আটক করা হয়, যার মুল্য ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং একজন কুখ্যাত চোরাকারবারিকে আটক করে বিচারের জন্য বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। গত ০৭ মার্চ চোরাচালানকৃত ভারতীয় এল সি ডি মোবাইল ডিসপ্লে ৩৮৬০ পিচ যার মুল্য ২১ লক্ষ ৫০হাজার টাকা ও আসামী ১ জন বিজ্ঞ আদালতে বিচারের জন্য প্রেরণ, একই দিনে অভিযানে ভারতীয় জিরা ১৫০ কেজি জিরা যার মুল্য ১ লক্ষ ২০ হাজার৷ টাকা ও একটি পুরাতন অটোরিকশা যার আনুঃ মূল্য ৩ হাজার টাকা সাথে চোরাকারবারি ০২ জন বিচারের জন্য আদালতে প্রেরণ।
গত ০৯ মার্চ নিষিদ্ধ ঘোষিত ইয়াবা ট্যাবলেট ৬২০ পিচ যার মুল্য এক লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা, নগদ ১ হাজার ১০০ টাকা ও একটি বাটন মোবাইল ফোন উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ী ০১ জনকে আইনের আওতায় এনে বিচারের জন্য আদালতে প্রেরন করে। গত ১০ মার্চ ২৫ ইং হালুয়াঘাট থানা বিশেষ অভিযানে সাফল্যজনক চোরাচালানী মালামাল আটক করে। এদিন আটককৃত মালামালের মধ্যে ভারতীয় জিরা ৪৫৪০ কেজি, যার বাজার মুল্য ৩৬ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা, সাথে ২১০০ পিচ ভারতীয় সাবান যার মুল্য এক লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা এবং একজন চোরাকারবারি কে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে বিচারের জন্য প্রেরণ করা হয়। এই প্রতিবেদন হালুয়াঘাট থানা লেজার হিসেবে তৈরি করা হয়।
ওসি আবুল খায়ের উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের সাথে আলাপকালে জানান, হালুয়াঘাট সীমান্তবর্তী অঞ্চলের একটি বড় এলাকাভিত্তিক থানা। এখানকার জনসাধারণ দরিদ্রপ্রকৃতির, বিধায় আমি অত্র থানায় যোগদানের পর সীমান্তের প্রতি কঠোর নজরদারিতে আজ এই সাফল্য এবং মাদক নির্মূলে থানা পুলিশ বদ্ধপরিকর।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আইনশৃঙ্খলা আগের চেয়ে অনেক উন্নত, এবং হালুয়াঘাটের মানুষ এ ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
(এনআরকে/এসপি/মার্চ ১২, ২০২৫)