স্টাফ রিপোর্টার : চলতি বছরের প্রথম দুই মাস জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে সংখ্যালঘু-আদিবাসীদের টার্গেট করে মোট ৯২টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে হত্যার ঘটনা ১১টি, ধর্ষণের ঘটনা ৩টি, মন্দিরে হামলার ঘটনা ২৫টি, ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ১টি, আদিবাসীদের ওপর হামলার ঘটনা ৬টি, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনা ৩৮টি, চাকরি থেকে অপসারণ ২টি এবং অন্যান্য হামলা ৬টি। পূর্বের মত ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত সহিংসতা এখনও অব্যাহত রয়েছে। 

আজ বুধবার বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বর এ পাঁচ মাসে সংখ্যালঘুদের টার্গেট করে হামলার ঘটনা ঘটেছে ২১৮৪টি। এর মধ্যে হত্যার ঘটনা ৩২টি হত্যা, উপাসনালয়ে হামলার ঘটনা ১৩৩টি, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা ১৩টি, বাড়িঘর-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ ১৯০৬টি, জমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের ঘটনা ৪৭টি, শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ৩৮টি এবং কথিতমতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গ্রেফতারের ঘটনা ১৫টি। উক্ত ঘটনাসমূহের বিস্তারিত উল্লেখ করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ও ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশবাসীকে অবহিত করা হয়েছিল।

নেতৃবৃন্দের ঘটনাস্থল পরিদর্শন

গত ৯ মার্চ রাতে ঢাকার সাভারের আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী দিলীপ দাসকে নির্মমভাবে হত্যা করে স্বর্ণ লুটের ঘটনাস্থল অতিসম্প্রতি পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল।

এতে অন্যান্যে মধ্যে ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্র নাথ বসু, যুব ঐক্য পরিষদের দপ্তর সম্পাদক সুজিত কুমার ঘোষ, ঢাকা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার দাস, আশুলিয়া থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি আশিস নাগ, শম্ভু সরকারসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ হত্যাকান্ডের শিকার দিলীপ দাসের স্ত্রী ও পরিবারের প্রতি সমবেদনাজ্ঞাপন করেন এবং হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান।

এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) তরিকুল ইসলামের সাথে দেখা করে হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিতের আহবান জানায় নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও প্রতিনিধিদল আশুলিয়া বাঁশবাড়ি থানাস্থ সন্তোষ ঠাকুরের বাড়ির জায়গা-জমি জনৈক জাহাঙ্গীর আলম কর্তৃক অবৈধভাবে দখলে রাখার ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করেন।

(পিআর/এসপি/মার্চ ১২, ২০২৫)