কোটালীপাড়ায় দিনে দুপুরে ডাকাতি, গৃহকর্তার ছেলের মরদেহ উদ্ধার

তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় পল মজুমদার খোকন নামে এক দন্ত চিকিৎসকের বাড়িতে দিনে দুপুরে ডাকাতির অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ওই চিকিৎসক ও তার স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। গৃহকর্তার বাড়ি থেকে ছেলে পিয়াস মজুমদারের (২২) হাত পা-বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই বাড়ি থেকে টাকা, পয়সা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে কোন এক সময়ে কোটালীপাড়া উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের লাকিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
কোটালীপাড়া থানা ওসি মোঃ আবুল কালাম আজাদ এটিকে চুরির ঘটনা জানিয়ে গণমাধ্যমকে বলেছেন, চুরিতে বাঁধা দেওয়ায় ওই যুবককে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, পিয়াসের মা চাকরি করেন। বাবা ডেন্টিস্ট। কেবা কারা ঘরের মধ্যে ঢুকে ছেলেটিকে মেরে ফেলেছে। ঘরের মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে। এ কাজে লোক সংখ্যা কত ছিল এটাতো আমরা বলতে পারছি না। তাই এটিকে ডাকাতি বলা যায় না। আমদের ধারণা যখন চুরি করতে গেছে, ছেলাটা বাঁধা দিয়েছে, তখন মুখে গামছা ঢুকিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তারপর ঘরের মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে।
ওই গ্রামের পল মজুমদার খোকন পেশায় একজন দন্ত চিকিৎসক। তিনি লাকিরপাড়া গ্রামের পার্শ্ববর্তী রাধাগঞ্জ বাজারে নিজের চেম্বারে দাঁতের চিকিৎসা করেন। তার স্ত্রী অনিতা বৈদ্য গোপালগঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে নার্সের চাকুরি করেন। প্রতিদিনের মতো আজ মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে তারা বাড়ি থেকে কর্মস্থলে চলে যান। এ দম্পত্তির একমাত্র সন্তান পিয়াস মজুমদার বাড়িতে ছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে পল মজুমদার খোকন বাড়িতে এসে তার ছেলে পিয়াস মজুমদারকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় খাটের উপর দেখতে পেয়ে চিৎকার দেয়। এ সময় আশ-পাশের লোকজন ছুটে এসে পিয়াস মজুমদারকে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পিয়াস মজুমদারের হাত পা বেঁধে হত্যা করে টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন পল মজুমদার খোকনের প্রতিবেশী সলমন মজুমদার। তিনি বলে এটি ডাকাতির ঘটনা হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, পল মজুমদার খোকনের চিৎকার শুনে আমরা এ বাড়িতে এসে পিয়াস মজুমদারের হাত পা বাঁধা অবস্থায় দেখে তাকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠাই। খোকন মজুমদারের ঘরের সকল আসবাবপত্র ভাঙ্গাচুরা এবং এলোমেলো অবস্থায় পরে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেই।
কোটালীপাড়া থানা ওসি মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ আড়াই শ’ বেড জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তপূর্বক পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
(টিবি/এসপি/মার্চ ১১, ২০২৫)