একে আজাদ, রাজবাড়ী : ইউএনও যেন আশির্বাদ হয়েছে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলাবাসীর। বিপর্যয় এলেই তিনি হাজির হন সেবক হয়ে। ঘটনার আদ্যোপান্ত শুনে নোট করেন। এরপর খোজেন সমস্যা সমাধানের পথ। তাতে সফলও হন। আর একারণে পাংশার জনসাধারণের কাছে 'জনগণের সেবক' হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আবু দারদা। দারদাতেই যেন শেষ ভরসা পাংশাবাসীর। 

জানা যায়, আওয়ামী শাসনামলে দীর্ঘ ১৫ বছর সব ধরণের টেন্ডার, হাটবাজার ইজারা বন্ধ ছিল পাংশায়। বন্ধ ছিল উন্মুক্ত লটারিও। তবে সেই লটারি চালু করে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন এই ইউএনও৷ সম্প্রতি উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগ করেছেন তিনি। সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ লটারি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপজেলার ৩৩টি ডিলার নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।

পাংশা উপজেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগের আয়োজনে বিএনপি, জামায়াত নেতাদের উপস্থিতিতে কয়েকশত মানুষের সামনে এ লটারি অনুষ্ঠিত হয়। লটারিতে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ৩৩ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। নতুন করে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগ করায় সুনাম কুড়িয়েছন ইউএনও। দীর্ঘদিন পর এমন কাজে খুশি ডিলার প্রাপ্তরা।

ইউএনও আবু দারদা বলেন, জনগণের সেবক হিসেবে চাকরি করছি। তাদের সকল সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব আমার। কেউ সমস্যা নিয়ে আমার কাছে আসলে অবশ্যই সমাধান পাবেন। ভাল কাজ করে জনগণের মনের মাঝেই থাকতে চাই৷

(একে/এসপি/মার্চ ১১, ২০২৫)