শেখ হাসিনা পরিবারের ১২৪ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
স্টাফ রিপোর্টার : ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ভারতে পালিয়ে থাকা ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাসহ পরিবারের চার সদস্যের ১২৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনা ও তার বোন ছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদেরও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা তাদের অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর বা স্থানান্তর করার চেষ্টা করছেন বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে, অ্যাকাউন্টগুলো অবরুদ্ধ করা জরুরি বলে মনে করছে দুদক।
এর আগে, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের এই ১২৪টি অ্যাকাউন্টে থাকা ৬৩৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা অবরুদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটও (বিএফআইইউ)। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিষয়ক সভায় বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য দিয়েছে।
এদিকে, শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত বাসভবন সুধা সদনসহ তার পরিবারের সদস্যদের জমি ও ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এসব সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম এসব সম্পত্তি ক্রোক চেয়ে আবেদন করেন।
ক্রোক আদেশ হওয়া এসব সম্পদের মধ্যে রয়েছে-ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ১৬ কাঠা জমির সুধা সদন, যা শেখ হাসিনার ছেলে জয় ও মেয়ে পুতুলের নামে। গুলশান আবাসিক এলাকায় টিউলিপ সিদ্দিকের নামে ২৪৩৬ স্কয়ার ফিটের একটি ফ্ল্যাট, শেখ রেহানার নামে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ১০ শতাংশ জমি, সেগুনবাগিচায় একটি ফ্ল্যাট। এ ছাড়া রাদওয়ান মুজিবের নামে গুলশানের ছয়টি ফ্ল্যাট ক্রোক করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, তার ছোট বোন রেহানা সিদ্দিক, রেহেনার সন্তান রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকের স্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। এমতাবস্থায়, অভিযোগটির সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে অনুসন্ধান সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তারা যেন স্থাবর সম্পদ বা সম্পত্তির মালিকানা পরিবর্তন বা স্থানান্তর বা অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করতে না পারেন এ মর্মে ক্রোক আদেশ হওয়া আবশ্যক।
(ওএস/এসপি/মার্চ ১১, ২০২৫)