সোনারগাঁয়ে গ্রেফতার বাণিজ্যের অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে

সোনারগাঁ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় গ্রেফতার বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে সনমান্দি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড জাতীয়পার্টির সভাপতি আবুল হোসেন, ওয়ার্ড মেম্বার সাইফুল এবং লেদামদি গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাশেম রতনের বিরুদ্ধে।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়,উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের ২ ওয়ার্ডের হরিহরদী গ্রামের মুদি দোকানদার কবির হোসেন ও কুয়েত প্রবাসী আশরাফুলকে পূর্বশত্রুতার জেরধরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের হত্যা মামলায় নাম জড়ানো হয়। পরে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে তাদেরকে ধরিয়ে দেয় তারা।
কুয়েত প্রবাসী আশরাফুলের স্ত্রী আমেনা আক্তার বলেন, আমার স্বামী কুয়েত প্রবাসী মো.আশরাফুল দীর্ঘদিন যাবত বিদেশ থাকার পর দেশে আসেন, সে কোন দলের রাজনীতিতে জড়িত না থাকলেও আমার স্বামীর ছবি এডিটিং করে তাকে রাজনীতির মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরন করে। এসবের মূল হোতা হচ্ছে লেদামদি গ্রামের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা প্রবাসী আবুল হাশেম রতন, তার ভাই ওয়ার্ড জাতীয়পার্টির সভাপতি আবুল হোসেন ও বর্তমান ওয়ার্ড জনপ্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম।
স্থানীয় সাবেক মেম্বার ও বিএনপি নেতা সামছুল হক বলেন, কুয়েত প্রবাসী আশরাফুল'র জমি থেকে প্রায় ত্রিশলাখ টাকার সমপরিমাণ মাটি কেটে নিয়া যায় জাতীয়পার্টির নেতা আবুল হোসেন,বর্তমান মেম্বার সাইফুল ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাশেম রতন। আশরাফুল এর সাথে তাদের পূর্বসত্রুতা ছিল,আশরাফুল আসলে কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নয়।
এ বিষয়ে জাতীয়পার্টি নেতা সাইফুল মেম্বার বলেন,গত ইউপি নির্বাচনে আমার কাছে তারা পরাজিত হয়ে অশান্তিতে আছে। তাই আমার বিরুদ্ধে তারা বিভিন্ন মিথ্যে অভিযোগ তুলছে।
জেলহাজতে থাকা কবির হোসেনের মা বলেন, সাইফুল মেম্বার ও আবুল হাশেম রতন তাদের দুইজনের জ্বালায় আমরা বড় অসহায়। তারা যখন যে দল আসে,সেই দলের নেতা হয়ে যায়। এখন তারা নাকি বিএনপির বড় নেতা। লোক পাঠাইয়া ১০ লাখ টাকা চায়,আমরা তাদের প্রস্তাবিত টাকা দিয়ে তাদের সাথে মিললে আমাদের আর জ্বালাবে না। আমার ছেলেসহ দেবরকে জেলহাজত থেকে ছাড়িয়ে দিবে। আমরা অসহায়এখন কি করবো ভেবে পাচ্ছি না।
(বিএস/এএস/মার্চ ০৯, ২০২৫)