টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে দুদকের অভিযানে
.jpg)
তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পরিত্যক্ত খাদ্য গুদাম অপসারণের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়মের সত্যতা পায়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ টেন্ডারে আমিনুর এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৬ লক্ষ ১৯ হাজার টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হয়। কিন্তু আমিনুর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারীর স্বাক্ষর জাল করে টেন্ডার প্রত্যাহারের আবেদন জমা দেওয়া হয়।
গোপালগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় আমিনুর এন্টারপ্রাইজকে কাজ না দিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা মো. আলভি ট্রেডার্সকে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকায় কাজটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এ ঘটনায় আমিনুর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোঃ আমিনুর রহমান দুদকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে ৩ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশন গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমানের নেতৃত্বে দুদকের একটি দল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে।
দুদকের গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান জানান, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পুরাতন খাদ্য গুদাম অপসারনের জন্য দরপত্র বিজ্ঞপ্তি আহবান করে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়। এতে ১৪টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে।
তিনি আরো বলেন, এ কাজের প্রাক্কলিত মূল্য ছিল ১ লাখ ৫৬ হাজার ৮৬৬ টাকা। এরমধ্যে ৬ লক্ষ ১৯ হাজার টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হন আমিনুর এন্টারপ্রাইজ। ৬ লাখ ১৯ হাজার টাকায় টেন্ডার না দিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা মো. আলভি ট্রেডার্সকে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকায় কাজটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এতে করে সরকারের ৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকার রাজস্ব ক্ষতি হওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছে। সর্বোচ্চ দরদাতা টেন্ডার থেকে নাম প্রত্যাহার করেছে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু আসলে আমিনুর নাম প্রত্যাহার করেন নি বলে আমাদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযানে টেন্ডারের সর্বোচ্চ দরদাতা আমিনুরের স্বাক্ষরের সাথে প্রত্যাহারের আবেদনের স্বাক্ষরের কোন মিল পাওয়া যায়নি। এখানে য়ড়যন্ত্র করে সরকার যাতে রাজস্ব কম পায়, এমন একটা কাজ করা হয়েছে বলে তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, পরিত্যক্ত খাদ্য গুদাম অপসারণ টেন্ডার প্রক্রিয়া কমিটির আহবায়ক জেলা প্রশাসক। তিনি এখনো এ বিষয়ে কোন অনুমোদন দেননি। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগসাজসে অন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এক কাজটি করে থাকতে পারে বলে আমরা ধারনা করছি। এ ব্যাপারে আমরা প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান ওই দুদক কর্মকর্তা।
(টিবি/এসপি/মার্চ ০৮, ২০২৫)