বিকাশ স্বর্নকার, সোনাতলা : বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ইজারাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু'পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে এতে করে জেলা প্রশাসক এর নির্দেশে হাট-ইজারার ডাক স্থগিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার। তবে সে সময়ে দায়িত্বে থাকা আনসার ও পুলিশের সদস্য উপস্থিত না থাকলে হয়তোবা বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটতো বলে জানান দায়িত্বরত আনসার ও পুলিশ সদস্য। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উপজেলা পরিষদে ঘটে এ ঘটনা ঘটে।

উপস্থিত নেতাকর্মীরা জানান, পর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার হাটবাজার ও বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ নিলামের সিডিউল বিক্রি করে কর্তৃপক্ষ। নিয়মানুযায়ী বেলা ১১টার কিছু পর বিদ্যালয়ের গাছ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর উপস্থিতিতে শান্তি পূর্ণ পরিবেশে নিলামে অংশগ্রহণকারীরা ডাকের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতাকে কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত ঘোষণা করে। এরপর বিকেল তিনটায় হাটবাজার ডাকের জন্য সিডিউল বিক্রি করে প্রসাশন। তবে এ ডাকেও পূর্বের মতো বিএনপির নেতাকর্মীরা সিডিউল কিনে নেন। সিডিউল কেনা নেতাকর্মীদের মধ্যে হাটবাজার এর ডাক টি নিয়ে একে অপরের সহিত সমঝোতা করার চেষ্টাও চলে। কিন্তু বালুয়া হাটের বিষয়টি কোনভাবেই সমঝোতায় না আসলে। এসময়ে বিএনপির দু'পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি চলার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে মহব্বত আলী নামে একজন বিএনপি নেতা আহত হয় এবং পারভেজ নামের নেতা মারপিটের শিকার হন।

এ বিষয়ে পৌর বিএনপির সভাপতি আবু নাসের ওয়াহেদ নোবেল জানান, বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে ঘটেছে তবে আমরা সহ দুপক্ষকে নিয়ে বসে মিমাংসা করে দিবো।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বীকৃতি প্রামাণিক জানান, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ নিলাম শান্তি পূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলেও হাট-বাজার ইজারা সংক্রান্তে বিএনপির দু'পক্ষের মধ্যে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার কারণে বিষয়টি আমি তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসক স্যারকে অবগত করি। জেলা প্রশাসক স্যার এর নির্দেশে হাট-বাজার এর ইজারার-ডাক সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।

সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ মিলাদুন নবী বলেন, হাটবাজারের ইজারা সংক্রান্ত বৃহস্পতিবার ধার্য তারিখ ছিল। ইজারার বিষয়টি নিয়ে বিএনপির দু'পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি সহ গন্ডগোলের ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক আমরা দুপক্ষকে সড়িয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।

(বিএস/এসপি/মার্চ ০৬, ২০২৫)