দীপক চন্দ্র পাল, ধামরাই : ঢাকার ধামরাইয়ে ইটভাটায় মোবাইল কোর্ট, জরিমানা, ভাঙচুর বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন শতাধিক ইটভাটার মালিক-শ্রমিকরা।

আজ বুধবার দুপুরে উপজেলা চত্ত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছেন ভাটা মালিকরা।

পরে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ধামরাই উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির আহবায়ক জালাল উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক আবুল হোসেন, মুজাহিদুল ইসলাম, মনির হোসেন প্রমূখ।

বক্তরা বলেন, একটি ইটভাটায় দুই থেকে তিন কোটি টাকা বিনিযোগ করা হয়েছে। অনেকে ঋণ নিয়ে ও দাদনে ইট বিক্রি করে এ ভাটা চালু রেখেছেন। প্রশাসন প্রতিদিনই ধামরাইয়ের দুই-তিনটি করে ইটভাটা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিচ্ছেন। এতে একদিকে ভাটা মালিকদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে।

অপরদিকে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হচ্ছে। এর ফলে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণকারীরা ইটের অভাব থাকায় নির্মাণ কাজে বাধার সম্মুভিন হচ্ছে।

ভাটা মালিকরা আরও জানান, ইটভাটায় কাস্টমস ভ্যাট, আয়কর, বাণিজ্যিক হারে জমির খাজনা, বিএসটিআই, ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্সসহ বেশ কিছু লাইসেন্স বাবদ প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব দিয়ে আসতেছি। এ ছাড়া ইটভাটা পরিচালনার অন্যান্য খাতের জন্য ব্যাংকঋণ বা দায়দেনা করেছি।

শ্রমিকদের অগ্রিম হিসেবে বড় অঙ্কের টাকা ছয় মাস আগে প্রদান করা হয়েছে। এসময় ইটভাটাগুলো বন্ধ করলে বড় ধরনের অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে পড়বেন ভাটার মালিক ও শ্রমিকরা। ইট ভাটায় মোবাইল কোর্ট, জরিমানা, ভাংচুর বন্ধ না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারী বক্তারা।

ভাটা মালিক মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, বৈধ বা অবৈধ সকল ইটভাটা থেকেই সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ও ভ্যাট পেয়ে থাকেন। আগামী বছর আমরা স্বেচ্ছায় অবৈধ সকল ভাটা ভেঙ্গে দেবো। এ বছর আর মাত্র দুই মাস ভাটাগুলো চালু রাখার দাবি জানান প্রশাসনের কাছে।

এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামনুন আহমেদ অনীক বলেন, হাইকোর্ট ও জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অবৈধ ইটভাটাগুলো ভেঙ্গে দেওয়া হচ্ছে। এ অভিযান চলমান থাকবে। তবে বন্ধ করে দেওয়া ইটভাটার শত শত শ্রমিক বেকার হওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। এছাড়া ভাটা মালিক সমিতির স্মারকলিপিটিও দ্রুত প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

(ডিসিপি/এসপি/মার্চ ০৫, ২০২৫)