বিশেষ প্রতিনিধি : রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার সেনগ্রামপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুল হামিদের স্বেচ্ছাচারিতা,অনিয়ম ও জবরদখলের অভিযোগ তুলেছে গ্রামবাসী।

এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) পাংশা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) (এসিল্যান্ড) মো: আমিনুল ইসলাম বিদ্যালয়ের সীমানা নির্ধারণ করতে যায়। এসময় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোজাফফের, হাবাসপুর ইউনিয়ন ভুমি সহকারী মো: রেজওয়ান মিয়া ও সরকারি সার্ভেয়ার মো: রাসেল উপস্থিত ছিলেন।

গ্রামবাসীর পক্ষে এ সময় শতাধিক বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও প্রধান শিক্ষকের পক্ষে সার্ভেয়ার তোফাজ্জেল হোসেন ছিলেন।

ঘটনা সূত্রে জানা যায় দীর্ঘ সময় মাপামাপি এক পর্যায়ে সমাধান না করেই ফিরে যান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও তার সাথে আসা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও সার্ভেয়ার।

তবে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সমস্যার সমাধান না করেই বিদ্যালয় থেকে ফিরে গেলে গ্রামবাসীর রেশনালে পড়ে প্রধান শিক্ষক ও তার ব্যক্তিগত সার্ভেয়ার।

পরে পাংশা মডেল থানার পুলিশ বিদ্যালয়ের গিয়ে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসতে গেলে তারাও গ্রামবাসীর রেশনালে পড়ে। পুলিশ গ্রামবাসীকে শান্তনা দিয়ে প্রধান শিক্ষক ও সার্ভেয়ার কে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

ঘটনা পর দিন মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে গ্রামবাসী পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আবু দারদার নিজ কার্যালয় দেখা করেন। গ্রামবাসী অভিযোগ তোলেন প্রধান শিক্ষক ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্যই নিজস্ব সার্ভেয়ার রেখে মাপামাপিতে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের পাশে বসবাস কারী মো: ইউসুফ আলী মোল্লা বলেন, এই বিদ্যালয়ের জমি দিয়ে প্রধান শিক্ষক হয়েছেন মো: আব্দুল হামিদ। তবে সে আমাদের বসত বাড়ির জমি বে-আইনি ভাবে দখল করে রেখেছে। অথচ প্রধান শিক্ষক তার ভাইয়ের বাড়ি করে দিয়েছে বিদ্যালয়ের জমিতে। আমরা সঠিক মাপ চাই।

তিনি আরও বলেন, আমাদের যে জমি স্কুলে চলে গেছে তা ফিরে পেতে চাই না।তবে আমাদের জমি বাদ দিয়ে স্কুলে ৩৩ শতক জমি দেখতে চাই।

পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আবু দারদা বলেন, প্রধান শিক্ষক ব্যক্তিগত সার্ভেয়ার রেখে ঝামেলা বাঁধিয়েছে।আমার কাছে গ্রামবাসী আসছিলো তাদেরকে আমি বলেছি আবারও নতুন করে মাপামাপি হবে।

(একে/এসপি/মার্চ ০৫, ২০২৫)