স্টাফ রিপোর্টার : তাড়াতাড়ি মুক্তি পেয়ে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায় এবং আগামী নির্বাচনে কীভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেন এ জন্য দোয়া চেয়েছেন সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।

বুধবার (৫ মার্চ) সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির আগে তিনি এ কথা বলেন।

এদিন সকালে শাজাহান খান, আনিসুল হক, কামাল মজুমদার, আতিকুল ইসলাম, সোলায়মান সেলিমসহ অন্য আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। তাদের ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। সকাল ১০টার কিছু সময় পর তাদের এজলাসে তোলা হয়। হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও তাদের পেছনমোরা করে হ্যান্ডকাফ পরা ছিল।

এ সময় ‘‘কেমন আছেন?’’ জানতে চান এক সাংবাদিক। উত্তরে শাজাহান খান বলেন, ‘‘আছি তোমাদের দোয়ায়। দোয়া করবা আমার জন্য।’’ তখন ওই সাংবাদিক বলেন, ‘‘কি দোয়া করবো?’’

‘‘দোয়া করবা যেন তাড়াতাড়ি মুক্তি পেয়ে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায় এবং আগামী নির্বাচনে কীভাবে অংশগ্রহণ করতে পারি এ জন্য দোয়া করবা।’’ বলেন শাজাহান খান।

তখন ওই সাংবাদিক আবার বলেন, ‘‘সবাই বলছে আপনারা দেশের বারোটা বাজিয়েছেন!’’ তখন শাজাহান খান বলেন, ‘‘আমরা বারোটা বাজিয়েছি না কারা বারোটা বাজিয়েছে এটা সামনে প্রমাণিত হবে।’’

পরে তাদের কাঠগড়ায় উঠানো হয়। এ সময় তাদের হ্যান্ডকাফ, হেলমেট খুলে দেওয়া হয়। এরপর ১০টা ১৫ মিনিটে বিচারক এজলাসে উঠলে তাদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি শুরু হয়। পরে আদালত এক এক করে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

এরপর তাদের আদালত থেকে নামিয়ে সিএমএম আদালতের হাজতখানার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়। এ সময় আরেক সাংবাদিক জিজ্ঞাস করেন, ‘‘আপনি এত হাসেন কেন?’’ তখন শাজাহান খান বলেন, ‘‘আমি সবসময় হাসি, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হাসতে থাকবো।’’ কারাগারে কেমন আছেন জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘‘খুব ভাল আছি। কারাগারে থেকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে নিরাপদে আছি।’’

এরপর শাজাহান খানকে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

(ওএস/এএস/মার্চ ০৫, ২০২৫)