আঞ্চলিক প্রতিনধি, বরিশাল : বরিশাল-ঢাকা ব্যস্ততম মহাসড়কের প্রশস্তকরণ অংশে অসংখ্য বৈদ্যুতিক খুঁটি সড়কের মধ্যে রেখেই চলছে সড়ক কার্পেটিংয়ের কাজ। ফলে যানবাহন চলাচলে সমস্যার পাশাপাশি দুর্ঘটনা প্রবন এ মহাসড়কে আরো দূর্ঘটনা বৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ ঘটনায় সড়ক ও জনপদ বিভাগ থেকে পল্লী বিদ্যুতকে দায়ী করা হলেও বিদ্যুত বিভাগ উল্টো সওজের ওপর দায় চাঁপিয়ে দিয়েছে।

সরেজমিনে মহাসড়কের বরিশালের প্রবেশদ্বার গৌরনদী ভূরঘাটা থেকে উজিরপুর উপজেলা এলাকা পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেছে, মহাসড়কের দুইপাশে প্রশস্তকরনের কাজ চলমান রয়েছে। এরমধ্যে অধিকাংশ এলাকায় মহাসড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটি সড়কের মধ্যে রেখেই কার্পেটিং করা হয়েছে। প্রশস্তকরণের অংশে কমপক্ষে ২০টি বৈদ্যুতিক খুঁটি মহাসড়কের মধ্যে রেখে কার্পেটিং করা হয়েছে।

মহাসড়কে চলাচলরত একাধিক চালক ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক একটি ব্যস্ততম সড়ক। মহাসড়কে চলাচলের সময় দ্রুতগতির যানবাহনগুলো ছোট যানবাহনকে রাস্তার পাশে চাপিয়ে দেয়। অনেক সময় ওভারটেকিংয়ের কারনে ছোট যানবাহনগুলো সড়কের পাশে চলে যায়। এক্ষেত্রে সড়কের মধ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকলে দূর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে।

তারা আরো বলেন, মহাসড়ক প্রশস্তকরণ কাজ যেমন জরুরি। তেমনি দ্রুত বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো অপসারন করা জরুরি হয়ে পরেছে। সড়কের মধ্যে খুঁটি রেখে কাজ চালিয়ে যাওয়ায় হতবাক চালকরা মহাসড়ক থেকে খুঁটি অপসারনের দাবি করেছেন।

বরিশাল সড়ক ও জনপদের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঢাকা-বরিশালের জাতীয় এ মহাসড়কের দুইপাশে প্রায় ছয় ফুট সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ চলমান রয়েছে। কাজটি ওটিবিএল নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়ন করছে।

বর্ধিত অংশে বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকার সত্যতা স্বীকার করে ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, গত বছরের ৯ ডিসেম্বর বরিশাল সড়ক ও জনপদ বিভাগ মহাসড়ক থেকে বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থানান্তরের জন্য বরিশাল পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার বরাবর পত্র প্রেরণ করা হয়। একই কার্যালয় থেকে চলতি মাসের গত ১৯ ফেব্রুয়ারি খুঁটি স্থানান্তরের জন্য দ্বিতীয়বার পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওটিবিএল’র কাজের দেখাশুনার দায়িত্বে থাকা ইসমাইল হোসেন বলেন, বিদ্যুতের খুঁটিগুলো স্থানান্তর না করার কারনে বাধ্য হয়েই আমরা প্রশস্তকরণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। বরিশাল সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে বিদ্যুত বিভাগের সাথে যোগাযোগ করে খুঁটিগুলো সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাসুদ খান।

এ ব্যাপারে গৌরনদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. শাহিন কবির বলেন, এখন পর্যন্ত খুঁটি স্থানান্তরের ফি পরিশোধ করেনি সড়ক ও জনপদ বিভাগ। তাই খুঁটিগুলো স্থানান্তর করা হয়নি। ফি পরিশোধ করা হলে খুঁটিগুলো সরিয়ে নেওয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

(টিবি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৫)