জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো সুবর্ণ মেলা

মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : সুবর্ণচর উপজেলা সমিতি চট্টগ্রাম এর ১০ ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে জমকালো আয়োজনে হয়ে গেলো সুবর্ণচর উপজেলাবাসীর প্রাণের মিলন মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ২০২৫।
আজ রবিবার চট্টগ্রাম শহরের সাগরিকা রোড়ে অবস্থিত মোস্তফা হাকিম মিনি স্টেডিয়ামে বৃহৎ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে সুবর্ণচর উপজেলা সমিতি চট্টগ্রাম।
সুবর্ণচর উপজেলা সমিতি চট্রগ্রামের সাধারন সম্পাদক অহিদের রহমান নয়ন ও যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ সোহরাব হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় এবং সমিতির সভাপতি পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার এএসপি আবু জাফর মোঃ ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক এডভোকেট এবিএম জাকারিয়া, বিশেষ অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন সিরাজ, ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজের সহকারী অধ্যাপক মিজান বিন মজিদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক আবদুচ সোবহান, ড. আকবর হোসেন, সুবর্ণচর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা জামাল উদ্দিন, সুবর্ণচর উপজেলা কল্যান সমিতি ঢাকা'র সাধারন সম্পাদক ইসমাইল হোসেন।
এছাড়া অন্যান্য বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী কৃষক দলের সাবেক সাধারন সম্পাদক জামাল উদ্দিন গাজী, বিশিষ্ট সমাজ সেবক, শিক্ষানুরাগী ও রাজনিতীবীদ নুরুল ইসলাম আজাদ, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক বশির আহম্মদ, খায়রুল আলম সেলিম, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী নুর উদ্দিন শামীম, কাজী আলমগীর, হারুন অর রশিদ, আকবর হোসেন, অলি উদ্দিন হাওলাদার, নুর মাওলাসহ সমিতির সকল সদস্যবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোঃ কামাল উদ্দিন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক চট্টগ্রাম কোরিয়ান ইপিজেড এর উপ-মহাব্যবস্থাপক মুশফিকুর রহমান রাজু, অফিসার ইনচার্জ, ফটিকছড়ি থানা, নুর আহাম্মদ বাবুল।
৪ পর্বের অনুষ্ঠানে অতিথিদের অভিব্যক্তি প্রকাশ, নারী, পুরুষ, শিশু কিশোদের জন্য খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, র্যাফেল ড্র, মেজবানী এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক এবং সুবর্ণ মৃত্তিকার গৌরব চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ কামাল উদ্দিন, সুবর্ণ মেধা চ.সি.ক এর নির্বাহী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন রিফাতের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
দীর্ঘ এক বছর পর একে অন্যের সাথে পরিচিত হয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন অনেকে, সুবর্ণ মেলা নয় এ যেন হয়ে উঠে চট্টগ্রাম শহরে এক খন্ড সুবর্ণচর। সকল ছোট-বড়, ধনী গরীব, রাজনৈতিক অরাজনৈতিক সকল শ্রেনী পেশার মানুষ মিলে মিশে একাকার হয়ে যান। ১০ বছর ধরে চলে আসা অনুষ্ঠানে প্রতিবছর অংশ নেয় প্রায় ১ হাজার থেকে ২ হাজার সুবর্ণচরের জনসাধারন।
(এস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫)