পঞ্চগড় কালেক্টরেট স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জনতার ঢল

স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় : পঞ্চগড় করতোয়া কালেক্টরেট আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আজ শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকাল থেকে শুরু হওয়া অনুষ্ঠান একপর্যায়ে হয়ে উঠে জনঅরণ্য। পঞ্চগড় কালেক্টর চত্বরে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক ও করতোয়া কালেক্টরেট আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের চেয়ারম্যান মো. সাবেত আলী।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)এস এম ইমাম রাজী টুলু'র সভাপতিত্বে বার্ষিক এই প্রোগ্রামে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমিক শাখার প্রধান শিক্ষক মো. নাসিমুল হাসান, প্রাথমিক শাখার প্রধান শিক্ষক মো. রাশেদুল আলম সরকার।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রীয় নির্দেশে রংপুর বিভাগে জরুরি কাজ থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারিনি প্রতিষ্ঠান পরিচালক পঞ্চগড় সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শাখার মোট ১ হাজার ৯ শত ৭৫ জন শিক্ষার্থী ও অর্ধশতাধিক শিক্ষক ও কর্মচারির বার্ষিক এই মহামিলনের পরিধি প্রসারিত হয় কালেক্টরেট চত্বর ঘিরে নানা খাবার-দাবার ও শিশুদের বাহারি খেলনার পসরায়। অনুষ্ঠান চত্বর সাজানো হয় নতুন আদলে।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ৬৮টি ইভেন্ট মোট ৩৪০ জন খেলোয়াড় অংশ গ্রহণ করে। এসমস্ত ইভেন্টে প্রথম, দ্বিতীয় তৃতীয় স্থান অধিকার করার গৌরব অর্জন করে মোট ২০৪ জন শিক্ষার্থী। মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে তিন ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হয়েছে ১২৬ জন পড়ুয়া। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সূচনা সঙ্গীত 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফ্রেবুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি..।'
সম্মেলক কন্ঠে এই গান পরিবেশিত হবার পরপর দ্বৈতকন্ঠে আবৃত্তি নিয়ে মঞ্চে উঠেন তৃতীয় শ্রেণি'র মোহসিনা আয়েশা ও তার সহোদর জাওয়াদ। একের পর এক উচ্চারিত হতে থাকে 'তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা কবিতাটি। এরপর 'চিড়া কুঠি,চিড়া কুঠি'গানের মিষ্টি সুরে নূপুরের ঝংকারে মঞ্চ মাতিয়ে তুলে তৃতীয় শ্রেণি'র সুদীপ্তা দাস মনি।
একের পর এক, কখনও একক, আবার কখনও দ্বৈত কন্ঠের গান। ফাঁক-ফোকরে আবৃত্তি ও নাচনিওয়ালিদের ঘুঙ্গুরের ঝনঝনানিতে অনুষ্ঠানস্থল ভিন্নরূপ ধারণ করে। বাদ যায়নি অভিনয়, সকালে শুরু হওয়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে সন্ধা ছয়টা নাগাদ।
অনুষ্ঠানের শেষ বেলায় 'তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা কবিতাটি' পুনরায় উচ্চারিত হয় শিশু (দ্বিতীয়) শ্রেণি'র লাবণ্যের কন্ঠে, মূর্হুতে স্তব্দ হয়ে যায় দর্শক ও স্রোতা গ্যালারি। পিন-পতন নীরবতার মধ্যে দিয়ে এই শিশুর উচ্চারিত কবিতা উপভোগ করে উপস্থিত সকল শ্রেণি'র স্রোতারা।
অনুষ্ঠান ঘিরে শিশু-কিশোর,তরুণ -তরুণীদের মাঝে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চলতা লক্ষ্য করা গেছে। শত শত অভিভাবক তাঁদের সন্তান, আত্মীয় স্বজন নিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ায় দিনটি উপভোগ্য হয়ে উঠে।
(আরএআর/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫)