সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া : নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার গন্ডা ইউনিয়নের সাধার গ্রামের গ্রাম পুলিশ আক্কাছ মিয়ার শাশুড়ি, স্ত্রী, কন্যাসহ পরিবারের ৯ সদস্যের উপর বর্বরোচিত হামলা ও একটি মনোহারী দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গ্রাম পুলিশ আক্কাছ মিয়া বাদী হয়ে গৌরিপুর উপজেলার সহনাটি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পল্ডীপাড়া গ্রামের ইউপি মেম্বার নিজাম উদ্দিন সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে ১৭ ফেব্রুয়ারী সোমবার রাতে কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। 

জানা যায়, গ্রাম পুলিশ আক্কাছ মিয়ার ছেলে জুয়েলের বিরুদ্ধে চুরির অপবাদ রটিয়ে গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারী দু’দফা হামলা চালিয়ে ৫ নারীসহ ৯ জনকে গুরুতর জখম করা হয়। এসময় বাড়ীর পাশে আক্কাছ মিয়ার একটি মনোহারী দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠে।

আক্কাছ মিয়ার অভিযোগ, গৌরিপুর উপজেলার সহনাটি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পল্ডীপাড়া গ্রামের ইউপি মেম্বার নিজাম উদ্দিনের নেতৃত্ত্বে এ হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। মামলা করার পর এখনও কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। ফলে গ্রাম পুলিশ ও তার পরিবারের সদস্যরা এখনও আতংঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। কেন্দুয়া থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে মামলার তদন্ত শুরু করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, তদন্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, তদন্তের দায়িত্বভার পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান, মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

তিনি আরও জানান, আসামি গ্রেফতারের জন্য কেন্দুয়া ও গৌরিপুর থানা পুলিশের যৌথ অভিযান পরিচালনার প্রক্রিয়া চলছে। তাছাড়া কেন্দুয়া উপজেলার ভূঞার বাজার এলাকায় একজন আসামীর দোকান পাট ছিল, সেখানে গিয়ে সেই আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্ঠা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। নজরুল ইসলাম বলেন, আসামীদের গ্রেফতারে খুব দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

(এসবি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫