ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠে ড. মিজানুর রহমান আজহারি

নীহার রঞ্জন কুন্ডু, ময়মনসিংহ : আল ইসলাম ট্রাস্ট ময়মনসিংহ কর্তৃক আয়োজিত ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠে গতকাল শনিবার বিকালে অনুষ্ঠিত তাফসিরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান মুফাসসির হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববরেণ্য ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারি।
ড. মিজানুর রহমান আজহারি তাঁর বক্তব্য বিকেল ২ টা ২ মিনিটে শুরু করেন। তিনি প্রায় ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যের শুরুতে প্রথম ১০ মিনিট তিনি পবিত্র কোরআন এর বিভিন্ন আয়াত সুরেলা কণ্ঠে তেলওয়াত করেন। মাঠে উপস্থিত জনতাকে শান্ত ও সুশৃঙ্খল ভাবে অবস্থান করার জন্য তিনি তাঁর বক্তব্যের মধ্যে বেশ কয়েকবার উল্লেখ করেন।
মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন কাতলাসেন কাদেরিয়া কামিল মাদরাসার প্রাক্তন হেড মুহাদ্দিস শায়খুল হাদীস হাফেজ মাওলানা নূরুল ইসলাম।
তিনি বেলা ০১-৩০ মিনিটে হেলিকপ্টারে চড়ে ময়মনসিংহ শহরের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্ট্রেডিয়ামে অবতরণ করেন এবং আবার হেলিকপ্টারে চড়েই ময়মনসিংহ ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য, মাহফিলে বিপুল সংখ্যক মানুষ এর সমাগম ঘটলেও আয়োজকদের প্রত্যাশার তুলনায় উপস্থিতি কম হয়েছে। ড. আজহারির আগমন উপলক্ষে ময়মনসিংহ নগরীকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কোন রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে না পারে সেজন্য সর্বোচ্চ সর্তকতাও অবলম্বন করে শহরে ব্যাব, পুলিশ, ডিবির দায়িত্ব ছিল চোখে পড়ার মত।
নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি ছিল খুব চমৎকার।
উল্লেখ্য, ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ মাঠে ড. মিজানুর রহমান আজাহারিকে ফু্লের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, জেলা বিএনপি (দঃ) এর আহবায়ক জাকির হোসেন বাবলু সহ স্থানীয় নেতা ও বিভিন্ন আলেম ওলামায়ে কেরামগণ।
অনেকে স্যোশ্যাল মিডিয়াতে মন্তব্য করে বলেন, আয়োজক কমিটির অব্যবস্থাপনা ও চরম বিশৃঙ্খলতার কারণে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বয়ান শেষ করেই চলে যেতে বাধ্য হন বিশ্বনন্দিত ইসলামি স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারি।অত্যন্ত দুঃখ জনক হলো তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে গেলেন যা কিনা ময়মনসিংহবাসীর জন্য লজ্জাজনক ঘটনা বলে মন্তব্য করেন বিশিষ্ট ইসলামিক বিশারতগণ। এছাড়াও উক্ত মাহফিল চলাকালিন প্রায় ৩০০ শতাধিক মোবাইল চুরি হয়, যা পরবর্তীতে কোতোয়ালি থানায় জিডির হিড়িক পড়ে। থানা সুত্রে জানা যায়, ২১২টি জিডি হয়েছে।
(এনআরকে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৫)