আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মুক্তি দেওয়া হবে এমন আরও তিন ইসরায়েলি বন্দির নাম প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরা হলেন, আলেকজান্ডার ট্রুফানোভ, সাগুই ডেকেল-চেন এবং ইয়ার হর্ন। স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) তাদের মুক্তি দেওয়া হবে। অপরদিকে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন ৩৬৯ ফিলিস্তিনি। খবর আল জাজিরার।

হামাস জানিয়েছে যে, তারা আশা করছে গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য ইসরায়েলের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনা আগামী সপ্তাহেই শুরু হবে।

এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৮ হাজার ২৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ১১ হাজার ৬৭৬ জন। তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ৬১ হাজার ৭০৯ জন বলে জানিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হওয়া হাজার হাজার মানুষকে এখন নিহতের তালিকায় রাখা হয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। সে সময় ইসরায়েলে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়। এছাড়া আরও দুই শতাধিক মানুষকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল।

এদিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত গাজার জন্য অগ্রহণযোগ্য পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র ভুল হিসাব করছে।

এরদোয়ান বলেন, দুর্ভাগ্যবশত যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অঞ্চল সম্পর্কে ভুল হিসাব করছে। ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যকে উপেক্ষা করে এমন কোনো দৃষ্টিভঙ্গি কারও থাকা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ট্রাম্পের প্রস্তাবের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি ফিলিস্তিনিদের যেকোনো জোরপূর্বক স্থানচ্যুতির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, তিনি গাজা দখল করতে চান। সে সময় তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন, মিশর ও জর্ডান যেন গাজার ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ করে। পরে তিনি আরও এগিয়ে গিয়ে গাজার ওপর মার্কিন নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ঘোষণা করেন, যেখানে ফিলিস্তিনিদের নিজ দেশে ফেরার কোনো অধিকার থাকবে না।

ট্রাম্পের প্রস্তাবের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি ফিলিস্তিনিদের যেকোনো জোরপূর্বক স্থানচ্যুতির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই জোরপূর্বক স্থানচ্যুতি অনুমোদন করা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। এটি হবে একটি সম্পূর্ণ নৃশংসতা।

ট্রাম্প ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীকে মিশর ও জর্ডানে পুনর্বাসন পরিকল্পনার জন্য চাপ দিচ্ছেন, যে প্রস্তাব উভয় দেশই বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে মিশরও তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূখণ্ডেই থাকতে দিতে হবে এবং গাজার পুনর্গঠনের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।

(ওএস/এএস/১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫)