ময়মনসিংহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের এডি জামালের দুর্নীতির খতিয়ান

নীহার রঞ্জন কুন্ডু, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সাধারণ জনগণের সেবা প্রাপ্তিতে বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে ফাইল জমা নেয়া হয়ে থাকে, পাশাপাশি ফাইলগুলোতে বিভিন্ন সংখ্যায় চিহ্ন দেয়া যদি না থাকে তাহলে যেকোনো ত্রুটি দেখিয়ে ফেরত দেয়া হয় ফাইল। এতে পাসপোর্ট করতে আশা লোকদের হতে হয় হয়রানির শিকার। সাম্প্রতিক সময়ে এই অফিসে সেবা প্রাপ্তিতে দালালদের প্রভাব এবং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
২০১৯ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ময়মনসিংহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়ে দালালদের কার্যক্রমের প্রমাণ পেয়েছে এবং একজন দালালকে কারাদণ্ড দিয়েছে।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে নিউজবাংলা ২৪-এর একটি প্রতিবেদনে ময়মনসিংহ পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়, যা পরবর্তীতে তার বদলির কারণ হয়।
এছাড়া, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে দুদক ময়মনসিংহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়ে পাসপোর্ট সেবা প্রদানে গ্রাহক হয়রানি ও ঘুষ দাবির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে।
এই ধরনের অভিযোগ ও প্রতিবেদন থেকে বোঝা যায় যে, ময়মনসিংহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সেবা প্রাপ্তিতে দালালদের প্রভাব এবং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। সাধারণ জনগণের উচিত সরাসরি অফিসের নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় ফাইল জমা দেওয়া এবং কোনো ধরনের অনিয়ম বা হয়রানির সম্মুখীন হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা দুদকের সাথে যোগাযোগ করা।
এছাড়া, পাসপোর্ট অফিসের সেবার মান উন্নত করতে এবং দালালদের প্রভাব কমাতে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন। বর্তমান উপপরিচালক আসার পরে পাসপোর্ট অফিসের দূর্নীতি আরও বেড়েছে বলে সেবা গ্রহীতাদের অভিযোগ।
(এনআরকে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫)