গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :
গোপালগঞ্জের মধুমতি বিলরুট চ্যানেল দূষন ও দখল মুক্ত করতে উদ্যোগ ‍নিয়েছে জেলা প্রশাসন ও  নদী রক্ষা কমিটি।

ইতিমধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপ‌জেলার মা‌নিকদাহ থে‌কে মুকসুদপুর উপজেলার টে‌কেরহাট বন্দর পর্যন্ত ৪২ কিলেমিটার দীর্ঘ মধুমতি বিলরুট চ্যানেলের (নদী) ৩৬১টি অ‌বৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে।

সোমবার ( ১০ ফেব্রয়ারি ) থেকে জেলা প্রশাসন এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করবে । এ অভিযান অব্যাহত রেখে মধুমতি বিলরুট চ্যানেল এবছর দূষন ও দখল মুক্ত করা হবে । সরকার জেলার অন্তত এক‌টি নদী বা খাল‌কে দূষণ ও দখলমুক্ত রাখার নির্দেশনা দেয় । তারপর জেলা নদী রক্ষা কমিটি গোপালগঞ্জের মধুমতি বিলরুট চ্যানেল দূষন ও দখল মুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসন ও নদী রক্ষা কমিটির সদস্যরা ইঞ্জিন চালিত নৌকাযোগে মধুমতি বিলরুট চ্যা‌নেলের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানিকদাহ থেকে মুকসুদপুর উপজেলার টেকেরহাট পর্যন্ত ৩৯ কিলোমিটার এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান , পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রেফাত জামিল, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়েজ আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গোলাম কবির, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক বিশ্বজিৎ কুমার পাল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুব্রত কুমার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাকিবুল ইসলাম, সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) বাবলী শবনম, সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন মুন্নাসহ নদীরক্ষা কমিটির কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, গোপালগঞ্জ জেলায় মোট ৮টি নদী আছে । এরমধ্যে নদী রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে মধুমতি বিলরুট চ্যানেলকে দূষন ও দখল মুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । ইতিমধ্যে এ নদীর ১৬টি পয়েন্টে ৩৬১টি অ‌বৈধ স্থাপনা চি‌হ্নিত করা হয়ে‌ছে। নদীরক্ষা কমিটির সদস্যদের নিয়ে শনিবার সরেজমিনে আমরা এগুলো পরিদর্শন করেছি। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থে‌কে ধারবকাহিকভাবে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হবে। এ বছরের মধ্যে আমরা মধুমতি বিলরুট চ্যানেলকে দূষন ও দখল মুক্ত করব । সরকার জেলার অন্তত এক‌টি নদী বা খাল‌কে দূষণ ও দখলমুক্ত রাখার নির্দেশনা দেয় । তারপর জেলা নদী রক্ষা কমিটি গোপালগঞ্জের মধুমতি বিলরুট চ্যানেল দূষন ও দখল মুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে বলে জানান জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান।

গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রেফাত জামিল বলেন, গোপালগঞ্জ জেলার ৮ টি নদীর তীরবর্তী স্থানে ৬৮১ অবেধ স্থাপনা রয়েছে। এরমধ্যে মধুমতি ‍বিলরুট চ্যানেলের ১৬ টি স্পটে রয়েছে ৩৬১ অবৈধ স্থাপনা। বরাদ্ধ প্রাপ্তি সাপেক্ষে এগুলো দ্রুত উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হবে। বাকি ৭ টি নদীর তীরে আরো ৩২০ টি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। জেলা প্রশাসন এবং আমাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে এ তালিকা দেওয়া হয়েছে । উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বরাদ্দ ও নির্দেশনা পেলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করব।

(টিবি/এএস/ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৫)