তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে মায়ের বাধায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ আরাফাতের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করতে পারেনি প্রশাসন। ঘটনার ৬ মাস পর আদালত শহীদ আরাফাতের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের নির্দেশ দেয়।  

আজ বুধবার দুপুরে মুকসুদপুর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের ছোট বনগ্রামে পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন করতে আসে প্রশাসন ও পুলিশের একটি টিম।

শহীদ আরাফাতে মা মায়া বেগম কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনে বাঁধা দিয়ে কাকুতি মিনতি করতে থাকেন। তাই প্রশাসন মরদেহ উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। পরে শহীদের কবর জিয়ারত করে তারা ফিরে যান।

গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রবীর বিশ্বাসের নেতৃত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন পিবিআই‘র ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার কুদরত ই খুদা, মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা কামাল, পিবিআই’র ইন্সপেক্টর গোবিন্দ লাল, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শহিদুল ইসলাম প্রমূখ।

গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রবীর বিশ্বাস বলেন, আদালতের নির্দেশে পিবিআই’র ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার, মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নিয়ে শহীদ আরাফাতের মরদেহ উত্তোলন করতে যাই। এ সময় তার মায়ের বাধা ও আর্তনাদে আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ উত্তোলন বন্ধ করা হয়। পরে আমরা শহীদ আরাফাতের কবর জিয়ারত শেষে ঘটনাস্থল ত্যাগ করি।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয় আরাফাত। আরাফাতের বাবা স্বপন মুন্সি পেশায় দিনমজুর। মা মায়া বেগম কাজ করেন একটি পোশাক কারখানায়। তারা ঢাকার আশুলিয়ায় বসবাস করেন। গত বছর আরাফাত আশুলিয়া বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৮ম শ্রেণিতে পড়ত।

(টিবি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৫)