ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছে তাদের পরিবারকে সহযোগীতা ও আহতদের পুর্নবাসনের জন্য আলাদা অধিদপ্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয়ের অধিনে এ অধিদপ্তরটিতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তাদের সহযোগীতা করবে।

আজ বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হরিহরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে খামারি পরিষদ আয়োজিত খামারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এই অধিদপ্তরের মাধ্যমে সকল দপ্তরের সহযোগীতা হতাহতদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।

উপদেষ্টা বলেন, বিল বাওড় প্রকৃত মৎস্যজীবীদের কাছে ইজারা দিতে হবে। অমৎস্যজীবীদের হাতে বাওড়ের ইজারা দেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে তিনি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন তিন মন্ত্রণালয় ইজারা ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছে। আশা করা যায় দ্রুতই এর সমাধান হবে।

স্থানীয় খামারী তরিকুল ইসলাম তুরকি'র সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান, ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার আহমেদ মারুফ।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রম্পের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি গ্যাক্রিয়েল পিনেদাছ, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল, এলডিডিপি'র প্রকল্প পরিচালক ড. মো. জসিম উদ্দিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. আমিনুল হক, তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ফরিদুল ইসলাম, তানজির আলম রবিন, শৈলকূপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস, শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন বাবর ফিরোজ, শৈলকুপা সম্মিলিত খামারি পরিষদের সদস্য সচিব ওসমান আলী।

(এসআই/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৫)