তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে মেয়ের উপর নির্যাতন ও কান কেটে মিথ্যা মামলায় শ্বশুর-শাশুড়িকে ফাঁসানোর প্রতিবাদে জামাইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শাশুড়ি আমেনা বেগম।

আজ সোমবার দুপুরে কাশিয়ানী উপজেলার দক্ষিণ বরাশুরের নিজ বাড়ীতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ওই ভুক্তভোগী নারী। সংবাদ সম্মেলনে তার মেয়ে মারুফা বেগম, চাচি চয়নিকা বেগম, মরিয়ম বেগম ও মোমেনা বেগম উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নারী আমেনা বেগম বলেন, আমার ছোট মেয়ে মারুফা খানমকে ২ বছর আগে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা মালেঙ্গা গ্রামের নজরুল ইসলাম মোল্লার ছেলে রমজান মোল্যার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর থেকে যৌতুকের দাবি করে আসছে৷ রমজান আমার মেয়েকে বিভিন্ন অজুহাতে শারীরিক নির্যাতন করত। চার মাস আগে আমার মেয়ের একটা ছেলে সন্তান জন্ম হয়। সন্তান জন্ম নেওয়ার ২১ দিন পর বেধড়ক মারপিট করে। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শিশু সন্তান নিয়ে আমাদের বাড়িতে চলে আসে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় মুঠোফোনে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। গত ১৬ জানুয়ারি রমজান একটি প্রাইভেট কার নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে তার চার মাসের সন্তানকে নিয়ে যায়। আমরা গোপালগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় ১৭ জানুয়ারি ফেরত পাই।

তিনি আরো বলেন, ২৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কাশিয়ানী থানা পুলিশ এসে আমাকে ও আমার স্বামী সিরাজ সিকদারককে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। পরে জানতে পারি জামাই রমজান মোল্লা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মামলায় উল্লেখ করেছে আমাদের বাড়ি থেকে ১৮ জানুয়ারি রমজানকে কুপিয়ে কান কেটে ফলেছি। এছাড়া মামলায় আরো উল্লেখ করেছে, তার সামনের দাঁত ভেঙে দিয়েছি। আমার মেয়ের বিয়ের আগেই তার সামনের দাঁত ভাঙা দেখেই মেয়ে বিয়ে দিয়েছিলাম। রমাজান ১৬ জানুয়ারি পর আমাদের বাড়িতে আসেনি। প্রশাসনের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার মোবাইল লিস্ট অনুযায়ী সে গোপালগঞ্জে ছিল। নিজে কান কেটে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়ায় বৃদ্ধ বয়সে জেল-হাজতে যেতে হলো। ৩০ জানুয়ারী আদালত আমাকে জামিন দিলেও আমার স্বামী জেলা হাজতে রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমার স্বামী একজন কৃষক। কিছু দিন আগে তার গ্যস্টিক আলসার অপারেশনের করা হয়েছে। প্রশাসনের কাছে আমার দাবি তারা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সত্য প্রকাশ করুক। আমরা ন্যায় বিচার দাবি করছি।

(টিবি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২৫)