প্রতিবাদের নামে সরকারকে বেকায়দায় ফেলানোর অপচেষ্টা হচ্ছে: গোবিন্দ প্রামানিক
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব এডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রমানিক বলেছেন, শিক্ষকদের যেমন প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো। তেমনি ছাত্রদের মূল কাজ হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে অধ্যায়ন করা। পাশাপাশি অবশ্যই শিক্ষার্থীরা অন্যায় অবিচারের প্রতিবাদ করবে, যেমন করেছে জুলাই-আগষ্টে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু বর্তমানে দুই-একটি কলেজের ছাত্ররা প্রতিবাদের নামে সড়ক অবরোধ করে শুধু সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির মধ্যে ফেলছে তা নয়, ছাত্রদের এই প্রতিবাদ ও সড়ক অবরোধে তৃতীয় পক্ষ ডুকে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে।
আজ সোমবার সকালে শ্রী শ্রী স্বরস্বতী পূজা উপলক্ষে রাজধানীর ওয়ারীর রাম সীতা মন্দির অঙ্গনে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ছাত্র মহাজোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আলোচনা সভায় গোবিন্দ প্রামানিক আরো বলেন, আমাদের সকলের মনে রাখতে হবে, কোনো কারণে যদি এ সরকার ব্যর্থ হয়, তাহলে সেটা দেশের মানুষের ব্যার্থতা। আমরা নিশ্চয় সেটা হতে দিতে পারি না। তাই আমি অনুরোধ করবো, বিশেষ করে তিতুমীর কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি, যে আপনাদের যদি যৌক্তির কোনো দাবি থাকে, তাহলে তা যথাযথ কতৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করুন। অযথা সড়ক অবরোধ করে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির মধ্যে ফেলানো সমুচিন হবে না।
ছাত্র মহাজোটের সভাপতি সজিব কুন্ডু তপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অথিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যান ট্রাস্ট্রে ট্রাস্টি সমীর বসু, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী অর্পণা রায়, সাংবাদিক সুজন দে, হিন্দু মহাজোটের প্রধান সমন্বয়কারী বিজয় ভট্রাচার্য, সাংগঠনিক সম্পাদক কিশোর কুমার বর্মন, বিবেকানন্দ গবেষণা কেন্দ্র-বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক নরেন্দ্র নাথ মজুমদার, আর্ন্তজাতিক সম্পাদক অরবিন্দ হালদার, প্রেম কুমার দাশ, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন ফ্রন্টের ঢাকা মহানগরের সভাপতি গৌতম মিত্র, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র দাশ, হিন্দু ছাত্র মহাজোটর সাধারণ সম্পাদক নিলয় পাল আদর, সাংগঠনিক সম্পাদক উৎপল ভৌমিক অর্থ, কেন্দ্রীয় নেতা পল্বব দাশ, হৃদয় দাশ, টিম্পল পাল, হৃদয় চন্দ্র দাশ, সুমন পাল, শুভ্র কুমার সরকার, শুভজিৎ চক্রবর্ত্তী প্রমুখ।
(পিআর/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২৫)