সোনাতলায় সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত
বিকাশ স্বর্নকার, সোনাতলা : বগুড়ার সোনাতলায় সাড়ম্বরে বিদ্যার দেবী সরস্বতীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার ভোর থেকে দিনব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও নিজ উদ্যোগে বাসাবাড়িতে বিদ্যার দেবীর পূজা অর্চনা করেছেন শিক্ষানুরাগীরা।
সনাতনী শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের ধর্মীয় মতে বাগদেবী সরস্বতী বিদ্যা,বাণী আর সুরের অধিষ্ঠাত্রী। মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে শুভ্র রাজহংসে চেপে দেবী সরস্বতী আসেন জগতে।
তারা আরো বলেন, পূজা শেষে পুষ্পাঞ্জলিতে পুরোহিত আমাদের বাগদেবী মার চরনে প্রনামের মন্ত্র উচ্চারণ করাবেন "সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমল লোচনে, বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী বিদ্যাংদেহী নমোস্তুতে" পাঠান্তে মায়ের চরণে ফুল বেলপাতা অর্পণ করে দেবী সরস্বতী মায়ের আরাধনা করবো নিবো আশির্বাদ।
পুরোহিত প্রদিপ চক্রবর্তী ও উত্তম চক্রবর্তী বলেন, শীতল ষষ্ঠীতে সরস্বতীপূজা সেই সাথে প্রচোলিত আছে এই দিনে শিশুদের প্রথম হাতেখড়ি। ঊনবিংশ শতাব্দীতে পাঠশালায় প্রতি মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে ধোয়া চৌকির ওপর তালপাতায় ও দোয়াতকলম রেখে পূজা করার প্রথা ছিল। শ্রীপঞ্চমী তিথিতে ছাত্ররা বাড়িতে বাংলা বা সংস্কৃত গ্রন্থ, শ্লেট, দোয়াত ও কলমে সরস্বতী পূজা করতো। উল্লেখ্য কুলই সরস্বতী পুজোর প্রধান ফল। সরস্বতী পুজোর আগে কুল খাওয়ার রীতি প্রচলিত নেই।
বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -২ এর সোনাতলা জোনাল অফিসের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) সাগর দেবনাথ জানান, যেথায় বিদ্যার চর্চা সেথায় মাতৃ আরাধনা। সকল সনাতনী সমাজ জেগে উঠুক মাতৃ বন্দনায়। তিনি আরো বলেন জ্ঞান সমুদ্রে ডুবে বিদ্যা দেবীর শীতল স্পর্শে মানব কল্যাণই হোক একমাত্র পাথেয়।
(বিএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২৫)