ফরিদপুরে তিনদিনে ধর্ষণের শিকার দুই শিশু
রিয়াজুল রিয়াজ, ফরিদপুর : ফরিদপুর জেলার দুইটি পৃথক উপজেলায় মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে ৪ ও ৬ বছর বয়সের দুইটি শিশুকন্যা ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে, ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের একটি মসজিদের বারান্দায়। যেখানে ৪ বছরের একটি শিশুকন্যা মসজিদের ইমাম আব্দুল আহাদ কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়।
ভুক্তভোগী ওই শিশুটির পরিবার জানায়, মসজিদের ইমাম আব্দুল আহাদ শিশুটিকে বাদাম খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে মসজিদের বারান্দায় নিয়ে যান এবং সেখানেই তাকে ধর্ষণ করেন। পরে শিশুটির চিৎকারে তার মা ও এলাকাবাসী এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই দিনই (বৃহস্পতিবার) মধ্যরাতে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় ফরিদপুর সদরের কোতোয়ালি থানার গজারিয়া এলাকা থেকে, ৪ বছরের ওই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের ইমাম আব্দুল আহাদ (৪২)কে গ্রেপ্তার করেন থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী মিনারুল।
উপরোক্ত ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই (ওই ঘটনার মাত্র তিন দিনের মাথায়) এবার ফরিদপুর জেলা সদরে ধর্ষণের শিকার হলো ৬ বছর বয়সী আরেকটি শিশুকন্যা। শিশুটি স্থানীয় একটি স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলায় ওই ঘটনা ঘটে। শিশুটিকে উদ্ধারের পর (রবিবার) সন্ধ্যায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিশুটির মা জানান, বাড়ির অদূরে অবস্থিত একটি আম বাগানে বাড়ির তিনটি শিশু মিলে একসাথে খেলাধুলা করছিল। এমন সময় হামজা শেখ (২৮) তাঁর মেয়েকে পাখির বাচ্চা ধরে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ঝোপের আড়ালে নিয়ে গিয়ে সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করে। ওই সময় শিশুটি জোরে চিৎকার দিলে খেলতে থাকা বাকি দুই শিশু খারাপ কিছু হয়েছে টের পেয়ে বাড়ির লোকজনকে ডাকতে আসে। তখন ওই দুই শিশুর কথা শুনে তাঁরা দৌড়ে ঘটনাস্থলে গেলে হামজা শেখ পালিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ওই ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত হামজা শেখ (২৮) পলাতক রয়েছে। অভিযুক্তের বাড়ি ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে।
রবিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যার একটু পর এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদ উজ্জামান উত্তরাধিকার ৭১ নিউজকে বলেন, 'একটি ছয় বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে- এমন খবর জানার পরপরই হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি এবং বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে দেখছি।’
এছাড়া, ঘটনাটির দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ওসি আসাদ।
(আরআর/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২৫)