স্টাফ রিপোর্টার : বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন পণ্যের যে দাম দেখছি, তাতে দেশে দাম কমার কথা। বাড়ার কোনো কারণ দেখি না। আমি আশা করি, আমি এ কাজটা করতে পারবো।

আজ রবিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বণিক বার্তা আয়োজিত পলিসি কনক্লেভে তিনি এ কথা বলেন। এ আলোচনার মূল বিষয় ছিল ‘খাদ্যপণ্যের যৌক্তিক দাম: বাজার তত্ত্বাবধানের কৌশল অনুসন্ধান’।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা প্রতিযোগিতা কমিশনকে পুরোপুরি স্বাধীন করে দিতে চাই। বাজারে যাতে প্রতিযোগিতাবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড না ঘটে। মন্ত্রণালয়ের সেখানে কোনো হস্তক্ষেপ যেন না থাকে, সেদিকে আগাতে চাই।

তিনি আরও বলেন, স্বল্প নয়, দীর্ঘমেয়াদে পরিকল্পনা গ্রহণ করা আমাদের প্রয়োজন। ধান সংগ্রহে সরকারি সংগ্রহটা সীমিত করতে চাই। সরকারি সংগ্রহ আমদানিনির্ভর হওয়া উচিত। তাহলে স্থানীয় বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক হবে এবং দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমার মনে হয় শেখ হাসিনার নামে একটা পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া দরকার। কারণ বায়তুল মোকাররমের খতিবের যদি পালিয়ে যাওয়া লাগে, তাহলে বুঝতে হবে কী পরিমাণ ধ্বংস করা হয়েছে সবগুলো খাত।

তিনি বলেন, আমাদের নীতিগুলো ধনিক শ্রেণিকে সুবিধা দেওয়ার জন্য হয়েছে। ভোক্তা বা সাধারণ মানুষকে সুবিধা দেওয়ার জন্য এসব নীতি গ্রহণ হয় না। বিগত ১৫ বছর দেশে উল্লেখযোগ্য কোনো বিনিয়োগ হয়নি। যদি সেটি না হয় তাহলে কর্মসংস্থান কীভাবে হবে? আমরা কার কাছ থেকে কর আদায় করবো?

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ব্যাংকগুলোকে গত ১৫ বছরে ক্রিমিনাল ইনস্টিটিউট হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। ইসলামী ব্যাংককে ধ্বংস করা হয়েছে। ব্যাংক আইনে দুর্বৃত্তায়ন করা হয়েছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (টিসিবি) ধ্বংস করা হয়েছে ১৫ বছর ধরে। ১২ হাজার কোটি টাকার একটা অপারেশন করে মাত্র ১৪২ জন। উপকারভোগীদের সংখ্যা ১ কোটি। শুনতে ভালোই লাগছে। কিন্তু আমরা যখন প্রাথমিকভাবে যাচাই করেছি, দেখলাম ৪৩ লাখ ভুয়া।

তিনি বলেন, আমার ধারণা, টিসিবির উপকারভোগী এক্সট্রা লেভেলে যাচাই করলে আরো ২০-২৫ লাখ ভুয়া পাওয়া যাবে। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা টিসিবির টেন্ডারে অংশ নেন না। আমি অনুরোধ করছি আপনারা অংশ নিন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, টিকে গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মাদ মুস্তাফা হায়দার চৌধুরী, সিটি গ্রুপের এমডি মোহাম্মদ হাসান, পোলট্রি খাতের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কাজী ফার্মসের পরিচালক কাজী জাহিন হাসান।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৫)