দিলীপ চন্দ, ফরিদপুর : মরণফাঁধে পরিণত হয়েছে ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গা মহাসড়ক।ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গা মহাসড়কজুড়ে অসংখ্য খানাখন্দ, কোথাও কোথাও আড়াই ইঞ্চি থেকে সাত ইঞ্চি পর্যন্ত গর্ত। বেশ কিছু জায়গায় উঠে গেছে পিচ ও কার্পেট। যানবাহন উল্টে প্রায় প্রতিদিনই ঘটে দুর্ঘটনা। হতাহত হয় মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন যাত্রী, পরিবহন শ্রমিক ও ব্যবসায়ী। এই দশা ফরিদপুর শহর থেকে ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ৩২ কিলোমিটার মহাসড়কের।

স্থানীয়দের ভাষ্য, ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুরে যাতায়াতের প্রধান এ সড়ক এখন যেন মরণফাঁদ।

হাইওয়ে পুলিশ বলছে, এই সড়কে কয়েক মাসে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। দূর্ঘটনার কবলে বেশী পড়ছেন মটরসাইকেল আরোহীরা। এতে হতাহতের সংখ্যাও বাড়ছে।

অটোরিকশা ও ট্রাক চালকরা বলেন, এ সড়কে চলার অবস্থা নেই। খানাখন্দে পড়ে অটোরিকশা উল্টে যায়। রাস্তার মাঝেই গাড়ি নষ্ট হয়। সড়কের বড় বড় আধলা ইটগুলো ট্রাকের চাকায় ঢুকে যায়। রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া যায় না।

রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে পদ্মা সেতু। কিন্তু সেতু পেরিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে শেষ হওয়ার পর সড়কে দুর্ভোগ বাড়তে থাকে।এক্সপ্রেসওয়ে শেষে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুরের দিকে যাওয়ার পথে দুই লেনের সড়কে ভোগান্তিতে পড়ে চালক ও যাত্রীরা।

এন-৭, ঢাকা খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুর থেকে ধুলদী রেলগেট পর্যন্ত ১০ কি.মি. এন-৮ ফরিদপুর বরিশাল মহাসড়কের মুন্সি বাজার থেকে পুকুরিয়া পর্যন্ত ২২ কি.মি. মোট ৩২ কি.মি মহাসড়ক জুড়ে ভোগান্তির শেষ নেই। ধীরগতির কারনে ১ ঘন্টার সড়ক অতিক্রম করতে সময় লাগছে ২ থেকে আড়াই ঘন্টা। ফরিদপুরের এই ৩২ কিলোমিটার এক লেনের সড়কে দুই লেনের গাড়ির চাপ নিতে পারছে না।

পদ্মা সেতু পার হয়ে ডান দিক দিয়ে ফরিদপুর শহরে যেতে মুন্সির বাজার পর্যন্ত সড়ক সংস্কারের অভাবে হাজার হাজার ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের এসব গর্তে পানি জমে ও অধিকাংশ সড়কের কার্পেটিং উঠে মানুষ ও যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।এই মহাসড়কে পাশাপাশি দুটি পরিবহন গাড়ি চলার সুযোগ নেই। যার ফলে দূর্ঘটনার মত ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়তই।

প্রতিদিনই এই দুই সড়কে পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে চলাচল করছে মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদাহ, যশোরসহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চালের অন্তত ১০ টি জেলার হাজারো যান-বাহন।

(ডিসি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৫)